gpপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের গ্রামীণফোনের শেয়ারের নিয়ে দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।  এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা এখন লোকসানের পাহাড় গুনছেন।

অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা গ্রামীণফোনের শেয়ারের বিক্রি করে এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কারন পুঁজিবাজারে স্মরনকালের দরপতনের রেশ কাটতে না কাটতে আবার নতুন করে গ্রামীনফোন শেয়ারের দরপতনে চিন্তিত হয়েঢ পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

গত এক বছরের ব্যবধানে গ্রামীণফোনের শেয়ারে অস্বাভাবিক ওঠানামা করছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ১০০ টাকা কমেছে। তবে এর আগের ৬ মাসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম দ্বিগুণ বেড়েছিল। এদিকে কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর কাছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রামীনফোন একটি মৌল ভিত্তি কোম্পানি। এ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত হওয়া স্বাভাবিক। তাছাড়া বাজার মূলধনের বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় কোম্পানি। ফলে এ কোম্পানির শেয়ার মূল্যের ওঠানামায় বাজার প্রভাবিত হয়। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, পুঁজিবাজারের স্মরনকালের ধ্বস এখনো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নাই। তবে গ্রামীনফোন শেয়ারের নতুন করে দরপতনে মুল পুঁজি নিয়ে চিন্তায় আছি। তাছাড়া গত এক বছরে এ কোম্পানির অস্বাভাবিক দরপতনের কারন কি।

এদিকে গত বছরের মার্চে গ্রামীণফোনের শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২০০ টাকা। একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তা ৪০৯ টাকায় উন্নীত হয়। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এটিই ছিল সর্বোচ্চ দাম। এ হিসাবে ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছিল। তবে দাম বৃদ্ধির পেছনে প্রতিষ্ঠানটির তেমন কোনো মূল্যসংবেদশীল তথ্য দেয়া হয়নি।

আর এক বছরের ব্যবধানে বুধবার তা ৩০৯ টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসাবে এক বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০০ টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে এটিই সর্বনিন্ম দাম। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রামীণফোন। অর্থাৎ ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ৮ টাকা লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের প্রথম ৬ মাসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ৯৫ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর পরবর্তী ৬ মাসে ৬৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ওই বছর ১৬০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর আগে ২০১৩ সালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে প্রথম ৬ মাসে ৯০ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ এবং পরের ৬ মাসে আরও ৫০ শতাংশ।

আমিনুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার