bsec-dsecশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)সাথে বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৈঠকে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে কি ভাবে উন্নয়ন করা যায় ও বাজার উন্নয়নে ১০ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

আজ বিএসইসির সাথে আলোচনায় ডিএসই’র পক্ষ থেকে আসন্ন ২০১৬-২০১৭ জাতীয় বাজেটে ডিএসই’র প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহনের কথা বলা হয়।

ডিএসই’র পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি এ বিষয়গুলোতে পদক্ষপ গ্রহণ করা হলে বাজারেরে প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।  বৈঠকে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সিডিবিএল এর বিভিন্ন ফি-যেমন সেটেলমেন্ট, লেনদেন, স্থানান্তর ও প্রেরণ, ডিমেট ও রিমেট, কর্পোরেট এ্যাকশন ইস্যুতে কথা বলে ডিএসই। এছাড়া বাজারের বর্তমান অবস্থায় সিডিবিএলের চার্জ কমানো জরুরি।

এদিকে, পুঁজিবাজারের পরিধিকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ড কিভাবে লেনদেন করা যায় সে বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা দূর করা। ডিএসই’ সূত্র বলছে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে ২২১টি ট্রেজারি বন্ড রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে ট্রেজারি বন্ডগুলো নন-ট্রেডাবল অবস্থানে রয়েছে।

সূত্র বলছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্রিয়তা অব্যাহত থাকলে বাজাটে ডিএসই’র প্রস্তাবিত ইস্যুগুলো যথাযথভাবে গ্রহীত হবে। এতে করে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মার্কেট মেকার রুল প্রণয়ন কথা বলে ডিএসই। সূত্র জানায়, মার্কেট মেকার রুল প্রণয়ন করা হলে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আরো আস্থা ফিরে পাবে। যা পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরাতে সাহায্য করবে।

sapon kumerএছাড়াও ডিএসই’র স্টেটেজিক পার্টনার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ডিএসই’র পক্ষ থেকে চলতি বছরেই স্টেটেজিক পার্টনার খুজে বের করা হবে বলে জানানো হয়। স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলো নিয়ে পৃথক মার্কেট, ইএফটি ফান্ড দ্রুত গঠন, বিনিয়োগকারীগনের সচেতনা বৃদ্ধিতে দ্রুত ফিন্যান্সশিয়াল লিটেরাজি প্রগ্রোম,

নতুন ব্রোকারেজ হাউজের মোবাইল বুথ/সার্ভিস সেন্টার চালু, কোম্পানি সম্পর্কে সহজে তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রত্যেকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের কাস্টমার সার্ভিস সাপোর্ট ডেস্ক চালু এবং ফ্রি মার্জিন লিমিট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পুঁজিবাজারের স্বার্থে ডিএসই দেওয়া এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করে বিএসইসি। এছাড়াও শিগগিরই ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন এবং এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিএসইসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনের প্রতিষ্ঠান সমূহে অর্থায়ন ও তালিকাভুক্তির জন্য একটি পৃথক বোর্ড অর্থাৎ স্মল ক্যাপ বোর্ড গঠন এবং পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ডিএসই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএসসি’র পক্ষ থেকে ডিএসই’র আলোচিত ইস্যুগুলো নিয়ে দ্রুত প্রদক্ষপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিএসইসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইটিএফ চালুর ব্যাপারে পত্রিকার মাধ্যমে জনমত আহ্বান করা হয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই মার্কেট মেকার রুল প্রণয়ন করা হবে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপি ফিনান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম চালু করা হবে।

ডিএসই’র প্রতিনিধিদলে চেয়ারম্যানসহ নয়জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএসইসি’র তিন কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী, আমজাদ হোসেন ও ড.স্বপন কুমার বালা কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন।