pubali bankশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি পুবালী ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ  সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়েছে। ব্যাংকটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফলে ব্যাংকটিকে আর শেয়ার বিক্রি করে এক্সপোজার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নামাতে হবে না। বরং শেয়ার বিক্রি না করে ই ব্যাংকটি আরও ১৫০ কোটি টাকা বাড়তি বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, পুঁজিবজারে ব্যাংকটির বিনিয়োগের পরিমাণ  ছিল এর রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ৪৩ শতাংশ। ব্যাংক কোম্পানি আইন ২০১৩ অনুযায়ী পুঁজিবাজারে একটি ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। এ হিসাবে তাদের বাড়তি বিনিয়োগ ছিল ১৮ শতাংশ। তবে মূল ব্যাংকের বিনিয়োগের জন্য নয়, নিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজকে দেওয়া ঋণের কারণে এক্সপোজার এত বেশি দাঁড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গত সপ্তাহে এক্সপোজার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে তাদের কাছে আবেদন করে। ওই আবেদনে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজকে দেওয়া ঋণ তার মূলধনে রূপান্তরের অনুমতি চাওয়া হয়। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক পূবালী ব্যাংকের এ আবেদন অনুমোদন করে।

সূত্র মতে, বর্তমানে পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজে পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি। এটিকে বাড়িয়ে ৬০০ কোটিতে উন্নীত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন মূল ব্যাংকের এক্সপোজের বাইরে রাখায় পূবালী ব্যাঙকের বিনিয়োগ নেমে আসবে রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশে। ফলে ব্যাংকটি তার মূলধনের আরও ৫ শতাংশ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে, বর্তমান হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পূবালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সায়িদ আহমেদ বলেন, সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বাড়িয়ে ওভার এক্সপোজার সমন্বয়ের এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী একটি সমাধান।

বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে ২ বছর সময় বাড়ানো হলে মাথার উপর শেয়ার বিক্রির একটি খাড়া ঝুঁলেই থাকতো। দুই বছর পরে হলেও ওই শেয়ার বিক্রি করতে হতো। এই ভয়ে অনেক বিনিয়োগকারী হয়তো বাজারে তেমন সক্রিয় হতেন না। এখন সে ভয় আর নেই।