KOLAMদেশে এখন কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। নেই কোন বিরোধী দলের কর্ম তৎপরতা। দেশে কোথাও কোন জালাও পুরাও নেই। সরকারের ভাষ্য মনে দেশে এখন আইনের শাসন বিরাজমান। দেশ এখন বিদ্যুৎ গতিরে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ জিডিপি প্রবিদ্ধি এখন ধারনা করা হচ্ছে ৭ এর কাছাকাছি হবে।
.
দেশে এখন কোন সমস্যা নেই। ডিজিটাল সরকারের উন্নয়নের ডিজিট গুলো বিদ্যুৎ গতিতে বেড়েই চলেছে। তাহলে পুজিবাজারের সমস্যা গুলো কোথায় ?? প্রতিদিন কেন পুজিবাজারের ইনডেক্সের ডিজিট গুলো কমে যাচ্ছে। গত ৩-০১-২০১৬ তারিখে ৪৬২৯ ইনডেক্স দিয়ে পুজিবাজার এই বছরের কার্য দিবস শুরু করে। অথচ মাত্র ৪ মাসেই আজ ২৬-০৪-২০১৬ তারিখে ইনডেক্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৮১। প্রায় ১০% ইনডেক্স পড়ে গেছে।
.
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ইনডেক্স যেখানে গত ৪ মাসে প্রায় ১০% পড়ে গেছে সেখানে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার, যে গুলো বাজারে জুয়াড়ি কোম্পানির শেয়ার বলেই অনেকে চেনেন, সেই সকল কোম্পানির শেয়ার গুলো ৪০০% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

মুষ্টিমেয় এই সকল কোম্পানির শেয়ার সংখ্যাও অত্যন্ত নগণ্য অর্থাৎ স্বল্প মূলধ্বনি কোম্পানি এবং এদের P/E ratio অনেক গুলোই ৩০০ থেকে ১৫০ এর কাছাকাছি। নিচে কিছু কোম্পানির শেয়ারের নাম দিয়ে দেয়ে হল যে গুলো দেখলেই আপনারা বুজতে পারবেন এই শেয়ার গুলোর ৪ মাস আগে কি দাম ছিল আর বর্তমানে এই শেয়ার গুলো কি পরিমান মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে কি দামে অবস্থান করছে।
.
EASTRNLUB = ৪ মাসে ৩০৪ টাকা থেকে ১৩০৯ টাকা
GEMINISEA = ৪ মাসে ৩১৫ টাকা থেকে ১১৪৫ টাকা
LIBRAINFU = ৪ মাসে ২৯০ টাকা থেকে ৬৮১ টাকা
MONNOSTAF= ৪ মাসে ২৮০ টাকা থেকে ৪৫৩ টাকা
ECABLES = মাত্র ২০ দিনে ১০৩ টাকা থেকে ১৭৪ টাকা
.
বাজারের লেনদেনের অবস্থা এমনেতেই করুন। তার উপর কিছুদিন যেতে না যেতেই একটার পর একটা IPO ওর মাধ্যমে বাজারে নুতন কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত হচ্ছে যার মাধ্যমে বাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে টাকা। এইসব কিছু সামাল দিতে দিতেই বিনিয়োগকারীদের অবস্থা করুন। এখন স্বল্প মূলধ্বনি জাঙ্ক শেয়ার গুলো যেন “মরার উপর খাড়ার ঘা”।

এই স্বল্প মূলধ্বনি জাঙ্ক কোম্পানির শেয়ার নিয়ে যে ধরনের নুংরামি হচ্ছে তাতে বিনিয়োগকারীরা আরও হতাহায় মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে এখন একটাই প্রশ্নঃ মৌল ভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে কি এই বাজারে সত্যিই মুনাফা অর্জন করা যায় ? পরিশেষে একটি কথাই বলতে হয় সত্যিই এই বাজার বড়ই অভাগা। অভিভাবকহীন একটি বাজার। দেখার কেউ নেই।

তানভীর আহম্মেদ,

বিনিয়োগকারী