শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের কিছুটা দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বিমা খাতের চমকেও পুঁজিবাজারে সূচকের দরপতন থামেনি। মুলত শেয়ার বিক্রির চাপে ডিএসইতে সূচকের পতন হলেও লেনদেন বেড়েছে। এর ফলে টানা দুই কার্যদিবস উত্থানের পর আজ সূচকের কিছুটা কারেকশন হয়েছে।

তবে সূচকের কিছুটা পতন হলেও বাজার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ দিন বিমা খাতের ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ১১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮ কোম্পানির শেয়ারর দাম। বিমা খাতের শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে খাদ্য, ওষুধ এবং বস্ত্র খাতসহ সব কয়টি খাতের শেয়ারের দাম। তাতেই সূচক পতন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৮টির। তার বিপরীতে কমেছে ৯৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৪টি কোম্পানির শেয়ারের। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২.৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩০২.০৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২.৮৬ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৩.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৬০.৫৭ পয়েন্টে ও দুইহাজার ১৩৪.৫৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৬৯৭ কোটি ০৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৬৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।

এদিকে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৭.৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬২৪.২৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৪.৪৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৫.৪৮ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ১.৭৬ পয়েন্ট ও সিএসআই ১.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১৩৫.০২ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫৮.২৯ পয়েন্টে, একহাজার ৩০৪.৬২ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৬৯.৭৪ পয়েন্টে।

আজ সিএসইতে ১৪৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ৫৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের। এদিন সিএসইতে ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।