শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট সাময়িক, খুব শিগগির বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলে অভিমত দিয়েছেন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)-এর সদস্যরা। ডিবিএ আয়োজিত সদস্যদের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় সদস্যরা এমন অভিমত দেন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ জানানো হয়। মতিঝিলে অবস্থিত ডিএসই ব্রোকার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিবিএ’র সভাপতি রিচার্ড ডি’ রোজারিওর সভাপতিত্বে এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. সাজিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যরা বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ও ব্রোকারদের বিদ্যমান নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তারা বলেন, বাজারের বর্তমান সংকট দীর্ঘস্থায়ী নয়, এটি সাময়িক। খুব শিগগির বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। তাই বাজারের বিরাজমান মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো কাজ করে যাওয়া উচিৎ। আমরা ব্রোকাররা অতীতের দুর্দিনে বাজার ছেড়ে যাইনি, বরং বাজারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে একে কার্যকর রেখেছি।

তারা আরও বলেন, এই খাত থেকে আমরা সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছি। কিন্তু আজ ব্রোকাররা চরমভাবে নিগৃহীত ও অবহেলিত। এমনিতে আমরা বহু বছর যাবৎ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সাম্প্রতিক মন্দাবাজার পরিস্থিতি ও শেয়ারের টানা দরপতনের ফলে দৈনন্দিন ট্রেড কমে গিয়ে অফিস পরিচালনা ব্যয় মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। তারওপর বিভিন্ন সনদ নবায়নে বিএসইসি ও ডিএসই’র আরোপিত অস্বাভাবিক ফি আমাদের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে।

এসময় তারা পুঁজিবাজারে তাদের কার্যক্রম ও সেবার মান ধরে রাখতে ডিপি সনদ নবায়ন ফি ২ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে আগের ৪ হাজার টাকার সঙ্গে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা, স্টক-ডিলার ও স্টক-ব্রোকার সনদ নবায়ন ফি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে আগের ১০ হাজার টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং ট্রেক সনদ ফি ১ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে আগের ৫০ হাজার টাকায় বহাল রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধানে ডিবিএর প্রতি আহ্বান জানান।

ব্রোকাররা বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক ও জরুরি প্রয়োজনে হাউজে নগদ অর্থ লেনদেনের অবাধ সুযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রত্যাশা করে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ডিবিএর প্রতি আ্বোন জানান। এছাড়া বর্তমান বুক বিল্ডিং সিস্টেমে ত্রুটিপূর্ণ বিডিং পদ্ধতির সংশোধনী এনে এই সিস্টেমের যথাযথ বাস্তবায়নের বিষয়ে ডিবিএর কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করেন।

বক্তারা আরও বলেন, সংগঠন হিসেবে ডিবিএর প্রধান দায়িত্ব ব্রোকারদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা এবং এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসইসি, ডিএসইসহ অন্যান্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করে ব্যবসায়িক পথ সুগম করা। অথচ ডিবিএ এখন পর্যন্ত ব্রোকারদের স্বার্থ আদায়ে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। এসময় ডিবিএ সভাপতি ব্রোকারদের দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।