শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:  পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সমেয়ে সৃষ্ট পতনের কারণে অনেক মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার অবমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে। ফলে এখন ওই কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠকে অ্যাসেট ম্যানেজার প্রতিনিধিরা এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এতে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডসের (এএএমসিএমএফ) সভাপতি ড. হাসান ইমামের নেতৃত্বে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য মতে, পুঁজিবাজারে গত কয়েকদিনের অস্বাভাবিক পতনের পরে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। এর আগে ৯ মার্চ ব্যাংকের প্রতিনিধি ও ১ মার্চ মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সঙ্গে কমিশন সভা করে। তবে গত ৮ মার্চ বিএসইসি সর্বোচ্চ পতনের ২ শতাংশ সীমা ও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভার বিষয়ে জানতে চাইল বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ার দর অবমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে বলে ফান্ড ম্যানেজাররা মনে করছেন। যেখানে এখন বিনিয়োগে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই ফান্ড ম্যানেজাররা তাদের হাতে থাকা অর্থ দ্রুত বিনিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া দেশের পুঁজিবাজারে ফান্ডের আকার খুবই ছোট বা অংশগ্রহণ কম হওয়ার বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এতে কমিশনের পক্ষ থেকে ফান্ড ম্যানেজারদেরকে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে বাজারে তাদের যে ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন রয়েছে, সেটাকে উন্নত করতে হবে বলে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারের স্থায়ী উন্নয়নে মিউচুয়াল ফান্ড খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অ্যাসেট ম্যানেজারদের কাজ দুই রকম। এগুলো হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও ম্যানেজ করা। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো অ্যাসেট ম্যানেজাররা শুধুমাত্র ফান্ড পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদেরকে বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে বাজারে আনার জন্য কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।