চীনা কনসোর্টিয়ামের ফান্ড আসছে চলতি সপ্তাহে!
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে চীনা কনসোর্টিয়ামের ফান্ডের অর্থ ব্রোকারেজ হাউজ মালিকদের হাতে আসছে। এরই মধ্যে এই অর্থ বিনিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চীনা ফান্ডের অর্থ খুব শিগগির পুঁজিবাজারে আসছে বলে ডিএসই সুত্রে জানা গেছে। এটির কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা সম্ভব হবে।
যারা এই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন, তারা কেবল ১০ শতাংশ ট্যাক্স মওকুফের সুযোগ পাবেন। চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রিবাবদ ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা পাওয়া গেছে। এখান থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ পুঁজিবাজারে টানতে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে শেয়ারহোল্ডারদের এই অর্থ তিন বছর পুঁজিবাজারে রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বাকি রয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে কিছু কার্যক্রম, যা শেষ হলেই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডাররা অর্থ হাতে পাবেন। যদিও চীনা ফান্ডের এ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকছে না। যারা কর ছাড় চাইবেন তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, চীনা ফান্ডের অর্থ যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন, শর্তসাপেক্ষে তারাই কেবল ১০ শতাংশ কর হ্রাসের সুযোগ পাবেন। পক্ষান্তরে যারা এই অর্থ পুঁজিবাজারে না রেখে অন্য কোথাও নিতে চান, তাদের অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে সদস্য ব্রোকাররা যে অর্থ পাবেন তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে ছাড় দেওয়া হবে। তারা আমাদের কাছে এই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিলে আমরা ব্যাপকহারে কর হ্রাস করে দেব। এটা আমরা পাঁচ শতাংশ করে দেব, কিন্তু শর্ত হচ্ছে এই টাকা আগামী তিন বছরের জন্য পুঁজিবাজারে রাখতে হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় পুঁজিবাজার যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও এটা কল্যাণ বয়ে আনবে। তাদের যুক্তি চীনা কনসোর্টিয়াম দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তারা মালিকানা পেয়েছে। এখন অবশ্যই তারা এ মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করবে। মার্কেটে যুক্ত হবে নতুন নতুন পণ্য, আসবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা।
সম্প্রতি কিছু শর্তসাপেক্ষে চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো, যাবতীয় কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন ও দেশের প্রযোজ্য অন্যান্য আইনসহ ডিমিউচুয়ালইজেশন আইন ২০১৩ এবং ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম অনুযায়ী পরিপালন করতে হবে।
এ চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এছাড়া কমিশনের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া শর্তাবলি আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় পরিবর্তন করা যাবে না।