unnamedশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সরকারের কাছে স্বল্প সুদে ৬ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠককালে বিএমবিএ এই তহবিল গঠন করার অনুরোধ জানায়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, মার্জিন ঋণ সমস্যার সমাধানে বেশ কিছুদিন আগে বিএমবিএ অর্থমন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল।

মূলত সেটির বিষয়ে আলোচনা করার জন্যেই সংগঠনের নেতারা আজ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। বৈঠক শেষে বিএমবিএ সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান বলেন,  তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে পুঁজিবাজারের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নেগেটিভ ইক্যুটি আছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। এমন একটি তহবিল পাওয়া গেলে বাজারে গতির সঞ্চার হবে। এতে নেগেটিভ ইক্যুইটির অনেক অ্যাকাউন্টের অবস্থার উন্নতি হবে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো তখন সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।

তহবিল থেকে নেওয়া ঋণের অর্থও তারা ফেরত দিতে পারবে। তিনি আরও জানান, অর্থমন্ত্রী বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তাদেরকে।

এই তহবিল কীভাবে গঠিত হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে গঠন করে সরাসরি টাকাও দেওয়া যেতে পারে। আবার বন্ড ইস্যু করেও তা সম্ভব। সরকার তার সুবিধাজনক পন্থাটি বেছে নিতে পারে। সাক্ষাতকালে তার সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও প্রাইম ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্টের সিইও ড. মোশাররফ হোসেন এবং লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিইও খন্দকার কায়েস হাসান।

প্রসঙ্গত, মার্জিন বিশেষ ধরনের ঋণ। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে এই ঋণ নিয়ে থাকে। ঋণের জামানত হিসেবে গ্রাহকের একাউন্টের সব শেয়ার ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা থাকে। শেয়ারের দাম কমে গিয়ে ঋণের বিপরীতে গ্রাহকের নিজস্ব মূলধন নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে এলে তাকে বাড়তি অর্থ জমা দিতে বলা হয়।

তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই অর্থ জমা না দিলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের গচ্ছিত শেয়ার বিক্রি করে ঋল সমন্বয় করে নিতে পারে। কিন্তু ২০১০ সালের ধসে সৃষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারের পরামর্শে বেশিরভাগ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজ শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সময়ন্ব করেনি। ইতোমধ্যে শেয়ারের দাম এতো বেশি কমে গেছে যে, গ্রাহকের নিজম্ব মূলধন ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।

ফলে তার সব শেয়ার বিক্রি করেও ঋণ সমন্বয় করা সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় গ্রাহক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে এড়িয়ে চলছে, তাদের প্রাপ্য শোধ করছে না। অন্যদিকে এই ঋণে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে যাওয়ায় তারাও তা শেয়ার কেনাবেচায় কাজে লাগাতে পারছে না। এতে বাজার গতি পাচ্ছে না।