insurence lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটবমস, ঢাকা: ২০১০ সালের ৩ মার্চ জাতীয় সংসদে বীমা আইন পাস হয়। আইন পাসের ১০ মাস পর ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি আইডিআরএ গঠিত হয়। যাত্রার শুরু থেকেই আইডিআরএ বীমা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।

২০১২ সালের মে থেকে ২০১৬ সালে মার্চ পর্যন্ত সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে বীমা খাত থেকে আইডিআরএর আয় হয়েছে ১২৩ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টাকা। এসব আয় থেকে ২০১৩ সালে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় আইডিআরএ। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে বীমা নিয়ন্ত্রকদের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

জানা যায়, আইডিআরএর আয়ের সবচেয়ে বড় অংশটি এসেছে বিভিন্ন বীমা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে। এছাড়া বীমা কোম্পানির এজেন্ট ও এমপ্লয়ার অব এজেন্ট লাইসেন্স, সার্ভেয়ার কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন, জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কোম্পানির শাখা খোলার ফির পাশাপাশি বিভিন্ন বীমা কোম্পানিকে ধার্য করা জরিমানা থেকেও আয় হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের মে থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বীমা কোম্পানিগুলোর প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২৭টি এজেন্ট ও এমপ্লয়ার অব এজেন্ট লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এ বাবদ আয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪২ টাকা। আইডিআরএ শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৩৮টি সার্ভে কোম্পানির লাইসেন্স নিয়মিত নবায়ন করেছে।

২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সার্ভে কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ২০ লাখ ১৪ হাজার ৮৬০ টাকা আয় করেছে। এদিকে জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কোম্পানির শাখা খোলার ফি বাবদ ২০১২ থেকে ২০১৬-এর মার্চ পর্যন্ত আইডিআরএর আয় ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে নতুন বীমা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২০১২ থেকে ২০১৬-এর মার্চ পর্যন্ত আইডিআরএর আয় হয়েছে ১১৫ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫০ টাকা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনসহ ৩২টি জীবন বীমা কোম্পানি রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ হিসাব করলে নন লাইফ বীমা কোম্পানি রয়েছে ৪৬টি। এসব কোম্পানি মোট ৭ হাজার ৫৭৩টি শাখার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে জীবন বীমার শাখা ৬ হাজার ৩১১টি ও সাধারণ বীমার শাখা ১ হাজার ২৬২টি।