bo-1শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নবায়ন না করায় প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট (হিসাব) বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২৫ জুনের আগে শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ১৮ হাজার। সর্বশেষ ১৭ জুলাই-এর হিসাবে দেশের শেয়ারবাজারে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ১৪ হাজার। অর্থাৎ বিও হিসাব বাতিল হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫টি। তবে সিডিবিএল সূত্র অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও নবায়নের জন্য অলিখিতভাবে আরও কিছুদিন সময় রয়েছে। ফলে অ্যাকাউন্ট বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বিও নবায়নের জন্য শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের ২৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে যেসব বিও হিসাবধারী নবায়ন করার লক্ষ্যে ফি জমা দেয়নি, ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে সেসব বিও হিসাব বন্ধের তালিকা পাঠানো শুরু হয়।

বর্তমানে মোট বিও হিসাবের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০টি। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৬১টি ও বিভিন্ন কোম্পানির ১০ হাজার ৭৪৪টি বিও হিসাব রয়েছে। প্রবাসী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হিসাবের মধ্যে পুরুষদের ২২ লাখ ৬০ হাজার ৬৮১টি ও মহিলাদের ৮ লাখ ৪২ হাজার ৭৬০টি বিও হিসাব রয়েছে।

বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে ৫০০ টাকা লাগে। এর মধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়। আর এ খাত থেকে গত বছর সরকারকে ৮১ কোটি টাকা দিয়েছিল বিএসইসি।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ এর তফসিল-৪ অনুযায়ী, বিও হিসাব পরিচালনার জন্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী বা বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত হারে বার্ষিক হিসাব রক্ষণ ফি দিয়ে হিসাব নবায়ন করতে হয়।

সিডিবিএল অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮টি সক্রিয় বিও ছিল। এগুলোতে শেয়ার আছে এবং এগুলো থেকে নিয়মিত লেনদেন হয়। এ ছাড়া ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৩৩টি বিওতে কখনো কখনো শেয়ার থাকলেও গত বছরের জানুয়ারি থেকে তা শূন্য হয়ে যায়।

৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০১টি বিও অ্যাকাউন্টে কখনোই শেয়ার ছিল না। এসব বিও অ্যাকাউন্ট সাধারণত আইপিওর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, নবায়ন ইস্যুতে গত বছর ১ লাখ ৭২ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়েছিল।