sholakiaস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ সময় ছয় পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে। নিহত কনস্টেবলের নাম জহিরুল। গুরুতর আহত ছয় পুলিশ সদস্যকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৯টায় শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসুদের হেলিকপ্টার আজিমুদ্দীন স্কুল মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীরা ককটেল হামলা চালায়। এ সময় পাশে থাকা পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলি ও ককটেল হামলায় কনস্টেবল জহিরুল নিহত ও দুই পুলিশসহ ছয়জন আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন জানিয়েছেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকে প্রথম হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। একজন নিহত হয়েছে। এরপর সাড়ে ৯টার দিকে আবার হামলা চালানো হয়। ৯টা ৫০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় স্থানীয় আজিম উদ্দিন স্কুলের পাশের একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখান থেকেই হামলা চালানো হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছুড়ছে।

eifgahএদিকে নিহত পুলিশ সদস্যের পরিচয় জানা যায়নি। আহত পুলিশ সদস্যদের অবস্থা গুরুতর। তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আগে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে টহল দিচ্ছিল একদল পুলিশ। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বোমা মেরে পালিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে শোলাকিয়া ঈদগাহ্ ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।  এবার ছিল ১৮৯তম ঈদুল ফিতরের জামাত।

সকাল ১০টায়  বিশিষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের  ঈমামতিতে জামাত অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত ছিল। এতে অংশ নিতে দেশ বিদেশের তিন লাখেরও বেশি মুসুল্লির সমাগম ঘটেছিল।

কিন্তু নামাজের আগে ঈদগাহে প্রবেশ পথে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুলিশ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে গুলি বর্ষণ করে। বেশ কিছু সময় ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

উল্লেখ্য, জনশ্রুতি আছে প্রায় ৭ একর আয়তনের এই মাঠে একবার ২৬৫টি কাতারের প্রতিটিতে ৫’শ জন করে মোট সোয়ালাখেরও বেশি মুসুল্লি একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠটি সোয়লাখিয়া থেকে পরবর্তিতে শোলাকিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে।