gulsan lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:  গুলশানের হলি আর্টিজেন বেকারিতে জঙ্গি হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গুলশানের একটি মার্কেটের সামনে বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গুলশান-১ নম্বরে অবস্থিত ডিসিসি মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই এলাকা ঘিরেও রাখে পুলিশ।

জানা যায়, ডিসিসি মার্কেটের সামনে আইল্যান্ডের ওপরে একটি বোমা সাদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা রাত ৮টার দিকে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা মার্কেটের সামনের এলাকাটি ঘিরে রাখে। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। গিয়েছিল বোমা নিষ্ক্রীয়করণ ইউনিটও।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে ওই বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; তাদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ২৫ জন আহত হন।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।

গুলশান ২ নম্বরের ওই ঘটনার পর থেকে ‘সব বিষয়ই গুরুত্বের সঙ্গে’ নেওয়ার কথাও জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে একদল সশস্ত্র যুবক অতর্কিত ভাবে ঢুকে পড়ে এবং অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অনেক নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে।

রাতভর উৎকণ্ঠার পর সকাল সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সম্মিলিত সামরিক দল।

সাড়ে ১২ মিনিটের এ অভিযানে অভিযানে এক জাপানি ও দুই শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ মোট ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের গুলিতে নিহত হয় ৬ জঙ্গি। অভিযান শেষে তল্লাশি চালিয়ে অপারেশন থান্ডারবোল্ট’র সদস্যরা রাতেই নিহত হওয়া ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।