oriaon infusশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের  শেয়ারের এত লেনদেনের বাড়ার কারন কি। এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নানা আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলেছেন, এ কোম্পানির শেয়ারের দর সামনে আরো বাড়বে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, টানা এক মান ধরে এ শেয়ারের দর বাড়ছে আর কত বাড়বে। এখন বিক্রির সময়।

সপ্তাহজুড়ে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের  ৩০ কোটি ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা স্টক এক্সচেঞ্জটির মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাঁচ কার্যদিবসের কেনাবেচা শেষে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ১০ নম্বরে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি।

orian 1 monthবাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ দর সংশোধনের পর প্রায় দেড় মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন শেয়ারের দর। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৭২ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা হয়।

গত এক বছরে এর সর্বনিম্ন দর ছিল ৪০ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৭৮ টাকা ৯০ পয়সা। গেল সপ্তাহে শেয়ারটির দর দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ওরিয়ন ইনফিউশন।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ৩৯ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৯ টাকা ২১ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

তখন ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ওরিয়ন ইনফিউশনের ইপিএস দাঁড়ায় ১ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা।

orian trade১৯৯৪ সালে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগ ৩ দশমিক ৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ২৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৫২ দশমিক ৮৮, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ২৯ দশমিক ১৭।