ctgচট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ খুব দ্রুত বেগে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে পূর্বে জারি করা এলার্ট-টু নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বিকেল থেকে জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে এলার্ট-থ্রি ।

বন্দরের সব ধরনের পণ্য ওঠানামা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের সব ধরনের যন্ত্রপাতি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুক্রবার (২০ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বন্দরের জরুরি সভায় ঘূর্ণিঝড় “রোয়ানু” মোকাবেলা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থানরত সকল লাইটারেজ জাহাজকে বাংলাবাজার জেটির নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরে অবস্থানরত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে ২ ঘণ্টার নোটিশে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙ্গরে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে।

সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় বন্দরে  এলার্ট-২ এর পরিবর্তে এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে।’ বন্দর সূত্র জানায়,  এলার্ট-থ্রি হলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ধাপ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫, ৬ অথবা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হলে বন্দরে এলার্ট-থ্রি জারি করা হয়।

jele nokaশুক্রবার বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সকল উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। জেলা কন্ট্রোলরুমের নম্বর হচ্ছে ৬১১৫৪৫।