tonu comillaশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে। তার পোশাকে তিন পুরুষের শারীরিক আলামত মিলেছে। সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পর শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি যে তনু ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সিআইডির সূত্র জানায়, তনুর পোশাক ও অন্তর্বাসে তিন পুরুষের শুক্রানুর আলামত মিলেছে। মূলত মৃতদেহে মোট ৪ জনের ডিএনএ পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি তনুর নিজের রক্তের। অন্য ৩টি ৩ পুরুষের। সংস্থার ঢাকার পরীক্ষাগারের প্রতিবেদনে এই আলামত পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

সোমবার তনু হত্যা মামলার বিষয়ে সিআইডি কুমিল্লা বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, আসামি শনাক্ত করতে আমরা মোটামুটি কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছি। সন্দেহভাজনদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং করা সম্ভব হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু তথ্য, উপাত্ত, মোবাইল ফোনের এসএমএস ও জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে আমরা ওই কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত নিশ্চিত হতে আমরা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। ফ্লুইড- এর নমুনা হিসেবে আমাদের পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য তাদের কাছে লিখিত চেয়েছিলাম। তারা আমাদের জানান, পরীক্ষায় তারা আলামত পাননি। তাই নমুনা সংরক্ষণ করা হয়নি।

এতে আমরা তনুর মরদেহে থাকা কাপড়-চোপড় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়টি নিয়ে এতদিন কিছু বলেনি সিআইডি বা ময়নাতদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার সিআইডির করা তনুর ডিএনএ ও সোয়াব টেস্টের প্রতিবেদন চেয়ে মামলার তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তাকে চিঠি দেন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা। ওই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় আদালতকেও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. নাজমুল করিম খান বলেন, আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষাগুলো করিয়েছি। প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে প্রতিবেদনের ফল তাদের জানিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলেও মুখ খুলতে রাজি হননি ডা. কামদা প্রসাদ সাহা। তবে শিগগিরই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার কাছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ পাওয়া যায়। প্রথম ময়নাতদন্তে তনুকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি এবং হত্যার কারণ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। ৩০ মার্চ ২য় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।