ঢাকা কর্মাস কলেজের ‘রোমিও ও জুলিয়েট’ (ভিডিও)
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঘটনাটি কি ছিল শুধুই মজা? নাকি এ কালের ‘রোমিও’ সত্যিই প্রেমের প্রস্তাব দিতে করেছিলেন এমন এলাহি কাণ্ড? ঘটনাটি হচ্ছে কয়েকদিন আগের কর্মাস কলেজের সেই প্রেমের কাহিনী। প্রেম প্রস্তাবকে ‘স্মরণীয়’ করে রাখার জন্য বিশেষ আয়োজন করে ভিডিও করে ঢাকা কমার্স কলেজের ১১ শিক্ষার্থী। তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে আলোচিত হয়।আর এ ভিডিও ছাড়ায় ঢাকা কমার্স কলেজের ১১ শিক্ষার্থী বহিস্কারও করে কলেজ। কিন্তু এ ঘটনার সত্যতা নাকি খতিয়ে দেখবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। খোঁজ নেয়া হবে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিককের একথা বলেন।শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, কমার্স কলেজের ঘটনা কী পর্যায়ে ছিলো, সেখানে দায়িত্বশীল প্রিন্সিপাল আছেন, ম্যানেজিং কমিটি আছেন, সেখানে প্রেফেসররা আছেন, এটা ভালো কলেজ, বড় কলেজ।
সেখানে এই ধরণের একটা ঘটনা ঘটছে। এর ভেতরের রহস্য, সবটাতো আমি এখনো জানি না। এটা জানার জন্য আমি খোঁজ খবর করতে বলেছি।সবাই শিক্ষার্থী, কলেজ ড্রেসও পরা। এদের মধ্যে একজনকে ‘প্রেমের প্রস্তাব’ দিতে বন্ধুরা মিলে করেছে ‘স্মরণীয়’আয়োজন। প্রথমে হাতে হাত ধরে বৃত্ত বানিয়ে তাদের দুইজনকে ভেতরে রেখে চারপাশ ঘুরছে বন্ধুরা। এরপর ছাত্রটি হাঁটু গেড়ে ছাত্রীকে প্রপোজ করছে, পরিয়ে দিচ্ছে আংটিও। সেই ছাত্রী সম্মতি জানিয়ে ‘জয়ের আনন্দে’একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। বাকি বন্ধুরাও উদযাপন করছে এ সিনেমাটিক মুহূর্ত।
সেই ঘটনার ভিডিও চিত্রও মোবাইলে ধারণ করে আপলোড করা হয় ইউটিউবে। একসপ্তাহ আগের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ এমন কাজকে সাবাশি দিয়ে লিখছেন, ‘হাউ সুইট, কত রোমান্টিক একটা মুমেন্ট’। আবার কেউ লিখছেন, “তরুণ প্রজন্মের এসব হচ্ছে কী? সব কিছুতে এত শো অফের কী প্রয়োজন? আর কলেজ ড্রেস পরে এসব ভিডিও বানিয়ে কী বোঝাতে চাইছে তারা?”
সামাজিক সাইটগুলোতে যে যাই বলুক, বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনই ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসবুরা সামিহা কায়নাত এবং শাফিন আহমেদ খান। বাকি নয়জন দুইজনেরই বন্ধু, সহপাঠি। বন্ধু সামিহা এবং শাফিনের বিশেষ মুহূর্তেকে ‘স্মরণীয়’ করে রাখতে বাকিদের নিয়ে করে এ আয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেই দুইজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা কমার্স কলেজ। বাকি ৯ জনের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজের সব শিক্ষার্থীকে ‘এ ব্যাপারে’ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

