dnccশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে গর হাজিরা এবং উপস্থিতিতে অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই ডিজিটাল হাজিরা (ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স) চালুর পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি।  চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী জুন মাসের শুরুতে চালু হতে পারে ডিজিটাল হাজিরা প্রক্রিয়া।

ডিজিটাল উপস্থিতির জন্য প্রযুক্তিসহ যন্ত্রপাতির কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে আগেই, এখন শুধু সংযোজন বাকি। নতুন পদ্ধতিতে, প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সকালে অফিসে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার আগে অবশ্যই আঙুলের ছাপ দিতে হবে। ডিএনসিসি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) তাদের নতুন ভবনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। গুলশান-২ এ প্রায় ৬০ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব অফিস হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে, অথবা আগামী জুন মাসের শুরুতে নতুন ভবনে যাবে ডিএনসিসি। সেখানেই কার্যকর হবে ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি। ডিজিটাল উপস্থিতি সম্পর্কে ডিএনসিসির সচিব মো. নবীরুল ইসলাম  জানান, আমরা নতুন অফিসে গিয়ে ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি কার্যকর করবো, এর প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।

সূত্র জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢাকা উত্তর সিটি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র আনিসুল হক। এজন্য তিনি বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজও করেন। এরপরই তিনি উদ্যোগ নেন ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি চালুর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেন, সরকারি অন্যান্য সংস্থা, অধিদফতর এর মতো সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অফিসে সময় মতো আসেন না। এই অভিযোগ অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন আমল থেকেই ছিল। পরে দুই ভাগে বিভক্ত হলেও এই অভিযোগ থেকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন রেহাই পায়নি। মেয়র নিজেই বেশ কয়েকদিন সকালে বিভিন্ন দফতর ঘুরে কর্মকর্তাদের পাননি। এরপর তিনি এ ব্যাপারে কঠোর উদ্যোগ নেন।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নতুন অফিসের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সাজ সজ্জার কাজ। চলতি মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব কাজ শেষ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে নগর ভবনের বাইরে থাকা উত্তর সিটির সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে ডিজিটাল উপস্থিতি পদ্ধতি চালু করার চিন্তা রয়েছে নগর পিতা আনিসুল হকের। বর্তমানে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫টি জোনাল অফিস রয়েছে। এর মধ্যে মিরপুরে ২টি, (১টি মিরপুর-২ এ, অন্যটি মিরপুর-১০ এ)। একটি করে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে উত্তরা, কারওয়ান বাজার এবং গুলশান-২ তে।

ডিএনসিসি’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আনিসুল হক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথা সময়ে অফিসে হাজিরার বিষয়ে কোন ধরনের ছাড় দেবেন না। তিনি এটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং এর শেষ দেখে ছাড়বেন।

জানা যায়, আনিসুল হক পুরাতন ভবনেই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স কার্যকর করতে চেয়েছিলেন। তবে প্রযুক্তিগত ঝামেলা এড়ানোর যুক্তি মেনে নিয়ে ও কর্মকর্তাদের পরামর্শে নতুন ভবনে তা কার্যকরে সায় দিয়েছেন তিনি।