jobi studentligসোহাগ রাসিফ, জবি: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ নেতারই ছাত্রত্ব শেষ এবং অনেকে বিবাহিত ও চাকুরিজীবী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সুপার ফাইভ কমিটি দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপর উপরের চাপও রয়েছে। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। খুব শিগগিরই সম্মেলনের মাধ্যমে জবি ছাত্রলীগের নবায়ন কমিটি গঠন করা হবে বলে কেন্দ্রীয়  ছাত্রলীগ সূত্রে  জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা  ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালের ৩ অক্টেবর । এতে নেতৃত্বে আসেন সভাপতি এফ. এম. শরিফুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক এস.এম. সিরাজুল ইসলাম । মেয়াদোত্তীর্ন এই কমিটিই চালাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যাবতীয় কার্যক্রম।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, সম্মেলনের মাধ্যমেই জবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে  এবং ১০ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় এই সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হতে পারে বলে জানা গেছে ।

জবি ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভাইটাল (সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক) পদের জন্য বিভিন্নভাবে লভিং-তদবির  করে বেড়াচ্ছেন অন্তত ১ ডজন ছাত্রনেতা। ভাইটাল পদ পেতে আগ্রহী ছাত্রনেতারা নিজেদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য  রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত ছাত্রলীগের পার্টি অফিস কে লোকে লোকারণ্য করে রাখেন ,তাদের নিজস্ব নেতাকর্মীদের দিয়ে ।

জানা যায় তারা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মন যোগিয়ে রখিতে বিভিন্নভাবে লবিং করে বেড়াচ্ছেন।  এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, খুব শিগগিরই জবি ছাত্রলীগের কমিটি নবায়ন করা হবে। লবিং-তদবির করে কোন লাভ হবে না।যারা নিয়মিত ছাত্র এবং যাদের বিরুদ্ধে  কোন অভিযোগ নেই  তারাই নেতৃত্বে আসবে।

যাদের ছাত্রত্ব নিয়ে ঝামেলা ,চাঁদাবাজ ,মাদকসেবা সহ পাশ্ববর্তী  থানায় মামলা  বা সাধারন ডায়েরী আছে তাদেরকে নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হবেনা  নিশ্চিত করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, জবিতে ক্লিন ইমেজের নেতারাই নেতৃত্বে আসবে এবং যাদের বয়স ২৯ বছরের কম  এবং  যারা নিয়মিত ছাত্র তারাই নেতৃত্ব আসবে।যাদের  সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে তারা নেতৃত্ব আসার সুযোগ নেই।

নতুন কামটি গঠনের ব্যাপারে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফ,এম শরিফুল ইসলাম জবি প্রতিবেদক সোহাগ রাসিফ কে জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পছন্দ অনুযায়ী জবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জবির সর্বশেষ কমিটি যাছাই-বাছাই করে দেয়ার পরেও  কতিপয় নেতা কর্মীদের জন্য নানা অভিযোগে জর্জরিত হয়ে উঠেছে এই কমিটি । দেশ সমালোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা, শিক্ষকের মাথায় অস্ত্র ঠেকানো , শিক্ষিকা কে লাঞ্চিত করন , যৌন হয়রানী , চাঁদাবাজী , মাদকসেবা সহ নানা অভিযোগের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বিদায় নিতে হচ্ছে এই কমিটিকে।

জবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়া হচ্ছে- এমন সংবাদে প্রকাশ হওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠছেন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটিতে স্থান পেতে তারা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছে তদবির শুরু করেছেন।

নতুন কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসের রাসেল , যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রিন্স এবং  তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল, সম্পাদক সাইফুল্লাহ ইবনে আহমেদ সুমন ।

সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং-তদবিরে এগিয়ে রয়েছেন যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সমাপাদক তানভীর রহমান খান, মো. মাহবুবুল আলম খান রবিন, এইচ এম কামরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাসেল ,জহির রায়হান আগুন, আনিসুর রহমান শিশির, সম্পাদক নুরুল আফসার , মো. ইব্রাহিম ডিয়ন।