toiletপর্যটকদের ভিন্ন পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় টয়লেট সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হয়। অর্থাৎ প্রকৃতির ডাক তো আর এলাকা বুঝে আসে না, তখনই পড়তে হয় বিপদে। তখন হয়তো বাধ্য হয়েই প্রাকৃতিক কর্মটি উন্মুক্ত স্থানেই সেরে নিতে হয়। তবে ভ্রমণপিপাসুদের এ সমস্যা থেকে উদ্ধারে একটি সহজ নির্দেশিকা তৈরি করেছে প্রকাশনা সংস্থা লোনলি প্লানেট।

সংস্থাটি লন্ডনের রাস্তার গণশৌচাগার থেকে শুরু করে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার মিটার উঁচুতে থাকা প্রক্ষালণকক্ষের শতাধিক ছবি প্রকাশ করেছে। ‘টয়লেটস : এ  স্পটারস গাইড’ শীর্ষক বইটি ইতিমধ্যে পর্যটকদের মধ্যে বেশ আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। কারণ আর যাই হোক, কেউ-ই চান না বেড়াতে গিয়ে এ ধরনের বিপদে পড়তে। তাই সাবধান হওয়া আর কি!

ছবিগুলোতে দেখা গেছে, বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাঁশ দিয়ে তৈরি টয়লেট থেকে বিলাসবহুল টয়লেটও রয়েছে। এর অনেকগুলোতে আবার রীতিমত শিল্পকর্মের ছোঁয়াও রয়েছে; যেখান থেকে জরুরি কাজটি সেরে নেওয়ার সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও উপভোগ করা যাবে!

বইটির মুখবন্ধে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো অভিজ্ঞ ভ্রমণকারী জানেন, আপনি একটি জায়গার টয়লেট দেখে তার পুরো অবস্থা সম্পর্কে বলতে পারবেন। আপনি যে নামেই ডাকুন না কেন, ল্যাভাটরি, লু, বগ, খাসি, থান্ডারবক্স, ডানি, ওয়াশরুম বা ওয়াটার ক্লোসেট- টয়লেট হলো একটি গন্তব্যের গোপন আত্মা সম্পর্কে জানার জানালা।’

পাঠকদের জন্য শতাধিক টয়লেটের ছবি থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো-

১. এটি ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজে অবস্থিত। এই দ্বীপটিতে কোনো মানুষ বাস করে না। তবে এখানে দৃষ্টিনন্দন একটি টয়লেট তৈরি করে রেখেছে দেশটির সরকার। এ কারণে এর নাম ‘টয়লেট দ্বীপ’।

২. এটি কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার হাইদা গাওয়াইতে অবস্থিত। যারা ঝুঁকি বা রোমাঞ্চ পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বিশেষ টয়লেট। সাগর পাড়ে দুটি খাঁজের মাঝে অবস্থিত। জোয়ারের সময় পানি এসে ময়লা ধুয়ে নিয়ে যায়। তবে ভয় পাবেন না। স্বাভাবিকভাবে সাগরের পানি কখনো টয়লেট পর্যন্ত ওঠে না।

৩. আশেপাশে কোনো বাড়িঘর নেই। তাই প্রকৃতিপ্রেমীরা টয়লেটের দরজা খোলা রেখে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে প্রাকৃতিক কর্মটি সারতে পারবেন। এটি নরওয়ের কোংসবার্গের জোংসনুতেন পর্বতের ওপরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০৪ মিটার উঁচুতে প্রাকৃতিক কর্মটি সারতে গিয়ে হয়তো টয়লেটটির মতো আপনার নিঃসঙ্গ অনুভূতি হতে পারে।

৪. এটি আইসল্যান্ডের ক্রাফলাতে অবস্থিত। আইসল্যান্ড মানেই তো বরফের রাজ্য। তবে প্রাকৃতিক কর্মের পর পুরিশ নিষ্কাশনের জন্য আপনাকে ফ্ল্যাশ করতে হবে না। জিওথারমাল বা ভূ-তাপে এগুলো এমনিতেই নিষ্কাশন হয়ে যাবে।

৫. এটি তাঞ্জানিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে অবস্থিত। পর্যটকদের সুবিধার জন্য এটি করা হয়েছে। আপনি নতুন পর্যটক হলে একটু সাবধান। কারণ এটি ৪ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। ভুলেও কোন জিনিস পড়ে গেলে খুঁজতে যাবে না। কারণ সেটি ফিরে পাওয়ার কোনো আশা নাই।

৬. এটি নেপালের আমা ডাবলাম পর্বতে অবস্থিত। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উঁচুতে হিম হিম ঠান্ডায় প্রাকৃতিক কর্মটি হয়তো তাড়াহুড়া করেই সারতে হবে।