বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল বরিশাল বুলসের অন্যতম স্বত্বাধিকারী তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মার্কেটিং এজেন্টেরও দায়িত্বে রয়েছেন রিজওয়ান বিন ফারুক। তাঁর প্রতিষ্ঠানই বিসিবির টাইটেল স্পন্সর, জাতীয় দল, বিভিন্ন সিরিজ-টুর্নামেন্টের স্বত্বসহ বেশ কিছু স্বত্ব কিনেছিল। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে সেই রিজওয়ানকেই ক্রিকেটে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। আজ শনিবার বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁর বিপক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
গত মার্চে এশিয়া কাপের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেই টুর্নামেন্টেরই স্বত্ব কেনা প্রতিষ্ঠান টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের প্রধান মইনুল হক চৌধুরীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন রিজওয়ান। এরপর তদন্তে নামে বিসিবি। তদন্ত শেষে দেখা যায়, এই ঘটনায় বরিশাল বুলসের স্বত্বাধিকারীই দায়ী।
বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান আজম নাসির সভা শেষে বলেন, ‘মাঠে এমন ঘটনায় বোর্ডের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই তাঁর বিপক্ষে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তা ছাড়া একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন থেকে আর ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না রিজওয়ান। তা ছাড়া কোনো ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। তবে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে লেনদেন থাকলে সে বিষয়ে বিসিবি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান।