পুঁজিবাজারের প্রধান সমস্যা ছিল চাহিদা এবং সরবরাহ
 
                 খুব সম্ভবত ২০০৮ সালের শুরু থেকে -২০০৯ সালেই এত এত ব্রোকার হাউজ বাংলাদেশের সর্বত্র গড়ে উঠে। হাউজগুলো একের পর এক ব্রাঞ্ছ খুলতে থাকে। এখনও মনে আছে খুব সম্ভবত ২০০৭-২০০৮ সালে ডিএসই তে ১০০ কোটি টাকার ট্রেড হলে মিষ্টি বিতরণ হয়। একের পর এক ঢাকা স্টক এক্সেইঞ্জের লাইসেন্স হাত বদল হতে থাকে। প্রত্যেক ব্যাংকগুলো তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসাবে ব্রোকার হাউজ খুলতে থাকেন।
খুব সম্ভবত ২০০৮ সালের শুরু থেকে -২০০৯ সালেই এত এত ব্রোকার হাউজ বাংলাদেশের সর্বত্র গড়ে উঠে। হাউজগুলো একের পর এক ব্রাঞ্ছ খুলতে থাকে। এখনও মনে আছে খুব সম্ভবত ২০০৭-২০০৮ সালে ডিএসই তে ১০০ কোটি টাকার ট্রেড হলে মিষ্টি বিতরণ হয়। একের পর এক ঢাকা স্টক এক্সেইঞ্জের লাইসেন্স হাত বদল হতে থাকে। প্রত্যেক ব্যাংকগুলো তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসাবে ব্রোকার হাউজ খুলতে থাকেন।
প্রত্যেক ফাইনান্স কোম্পানির পাশাপাশি ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো পর্যন্ত ব্রোকার হাউজ করতে থাকে। চট্রগ্রাম আর ঢাকাই একেবারে পথে প্রান্তরে গড়ে ওঠে ব্রোকার হাউজের শাখা। এক পর্যায়ে ১৫০ কোটি টাকার উপর উঠে যায়, ঢাকা স্টক এক্সেইঞ্জ এর লাইসেন্সের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকার হাউসের ২৭০টি শাখা খোলা হয় শুধু ২০০৯-২০১০ এর মধ্যে। সাথে চলতে থাকে হাউজগুলোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা, যে হাউজ যত বেশি লোণ দিবে, সেই হাউজে খোলা হবে একাউন্ট। ১ঃ১০ শুনেছেন? আমি দেখেছি।
ব্যাংকগুলো ইচ্ছা মতো করেছে বিনিয়োগ। একটি ফাইনান্স কোম্পানির এমডিকে বলতে শুনি, ফাইনান্স কোম্পানি বন্ধ করে দিয়ে, শুধু সিকিউরিটি হাউজ রাখবেন। ব্যাংকগুলো পাগলের মতো শুধু লোকেশান খুজতে থাকে, কোথায় নতুন শাখা খোলা যায়।
এই সেক্টরে আসতে থাকে বিভিন্ন সেক্টর থেকে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে শেয়ার বাজারের চাকরি নিয়েছে আমার জানা অনেকে। ব্রোকার হাউজের চাকরি হয়ে যায় সোনার হরিন। ( কর্পোরেট হাউজগুলোর)। হাউজগুলোর এক একটার ডেকোরেশান , লোকবল, সেলারি কাঠামো হু হু করে বাড়তেই থাকে। তারপর নতুন ইস্যু ফেইস ভেলু পরিবর্তন, সবগুলো ১০ টাকা করা হবে। আগুনে ঘি দেয়া হল।
সবকিছুই হতে থাকে দ্রুত। মাত্র দেড় থেকে দুই বছরেই এই সেক্টরের সবকিছুই বেড়ে যায় অকল্পনীয়ভাবে।এই দ্রুত সম্প্রসারণের অনেক কারণই থাকতে পারে, কিন্তু তার কোনোটিই দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।
তাছাড়া ২০০৯-২০১০ সালে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অতি মূল্যায়িত বাজারকে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ একটি কম্পেক্স বিষয়। আর্থিক মৌল ভিত্তি ছাড়াও এই বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্ব, প্রচণ্ড লোভ, আতঙ্ক, গুজব এবং বিভিন্ন ধরনের কারসাজি কাজ করে।
তখন বাজারের একটি প্রধান সমস্যা ছিল চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে বিরাট পার্থক্য। বাজারে এখন যে পরিমান নতুন ইস্যু আনা হচ্ছে তার তিন ভাগের এক ভাগ যদি তখন আনা হত, বাজার হয়ত এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের করত না।
Sabbir Alam সাবির আলম ফেইসবুক থেকে
এই লেখা পাঠকের একান্ত নিজস্ব মন্তব্য লেখা, এই লেখার জন্য শেয়ারবার্তা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।


 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                