pmশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম নৌ বাহিনীর ঈষা খাঁ ঘাঁটিতে তিনটি যুদ্ধজাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নৌ বাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এই বাহিনীর উন্নয়নে যা যা করার, সবই করা হবে।

এ সময় তিনি নৌ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশকে গড়ে তুলি, যাতে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আর এ জন্য বিশাল সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগানো হবে।

তিনি বলেন, ক্রমাগত সম্পদ আহরণে বিশ্বের স্থলভাগের সম্পদ আজ সীমিত। এ জন্য সারা বিশ্বের নজর এখন সমুদ্র সম্পদে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে। বর্তমান সরকার গ্লু ইকোনমির মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জলসীমার সুরক্ষায় নৌ বাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন তিনটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ- বানৌজা ‘সমুদ্র অভিযান’, ‘স্বাধীনতা’ ও ‘প্রত্যয়’- এর কমিশন সম্পন্ন করেন। পরে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, তিনটি নতুন যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের নৌ বাহিনী আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সব জাহাজের প্রয়োজন কেবল নৌ বাহিনীর নয়, সমগ্র জাতির জন্যই এগুলো কাজ করবে।

নৌ বাহিনীর এই অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার জন্য তিনি দেশবাসীকেও ধন্যবাদ জানান। এর আগে সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে নেভাল একাডেমিতে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় ঈশা খাঁ নৌ ঘাঁটিতে কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

উল্লেখ্য, নৌ বাহিনীতে সংযোজিত নতুন তিনটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজের মধ্যে ‘সমুদ্র অভিযান’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবং ‘স্বাধীনতা’ ও ‘প্রত্যয়’ চীন থেকে আনা হয়েছে। ‘সমুদ্র অভিযান’ ঘণ্টায় প্রায় ২৯ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে। আর ‘স্বাধীনতা’ ও ‘প্রত্যয়’ নামের জাহাজ দুটি বিমান বিধ্বংসী কামান, জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল এবং সমুদ্র তলদেশের টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম।

https://youtu.be/CVX2k9DcPoI