পুঁজিবাজারে মুনাফা বৃদ্ধিতে এগিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কোম্পানি
পুঁজিবাজারে মুনাফা বৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি। চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অধিকাংশ বেসরকারি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের শেয়ারের প্রতি সাধারন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এক সময় ব্যাংকের খাতের শেয়ারের বেশি ঝোঁক থাকলেও বর্তমানে ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক বেশি।
মূলত উৎপাদন খরচ কমে আসা, সাবসিডিয়ারি ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু এবং অন্য কোম্পানি অধিগ্রহণের কারণে এ বছর তাদের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। এদিকে পিছিয়ে পড়েছে এ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে আসে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে জ্বালানি খাতের মোট ১৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি কোম্পানি মুনাফায় রয়েছে। বিপরীতে লোকসানে রয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডস ও পাওয়ার গ্রিড। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট, যমুনা অয়েল, পদ্মা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মুনাফা কমেছে।
বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সামিট পাওয়ার লিমিটেড দেশে মোট ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে। বিদ্যুতের যথেষ্ট চাহিদা থাকায় কোম্পানিটির মুনাফায় নিয়মিত প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। যদিও সরকারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর টার্নওভার খুব বেশি পরিবর্তন হয় না।
চলতি বছরের প্রধমার্ধে সামিট পাওয়ারের সমন্বিত টার্নওভারের পরিমাণ ৩১৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। এ সময়ে কোম্পানির পরিচালন আয় দাঁড়ায় ১৮১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৭৩ কোটি টাকা। তবে সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য খাত থেকে অর্জিত মুনাফার সুবাদে সামিট পাওয়ারের নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৮৬ শতাংশ বেড়ে ২৮০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
সামিট গ্রুপের আরেক তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। প্রথমার্ধে এ কোম্পানিটির টার্নওভার ৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। এদিকে উৎপাদন খরচ কমে আসায় চলতি অর্ধবার্ষিকে পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে সুদ বাবদ খরচও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
মার্চে সাবসিডিয়ারি খানজাহান আলী পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর চলতি অর্ধবার্ষিকে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) সমন্বিত টার্নওভার ১৬২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে কেপিসিএলের টার্নওভার ছিল ২৫৫ কোটি টাকা, যা জানুয়ারি-জুন অর্ধবার্ষিকে ৬৭০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এতে পরিচালন মুনাফা সাত গুণ বেড়ে প্রথমার্ধে ১৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে আলোচিত কোম্পানি হচ্ছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
এ কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করে। আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতির দায়ে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকেও জরিমানা গুনতে হয়েছে। কোম্পানিটির সাবসিডিয়ারি ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসায় এর সমন্বিত টার্নওভার ২০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সমন্বিত পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ১৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে শাহজিবাজার পাওয়ারের কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রথম তিন প্রান্তিক (জুলাই ’১৪ থেকে মার্চ ’১৫) শেষে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।
আগের বছরের চেয়ে চলতি অর্ধবার্ষিকে ইউনাইটেড পাওয়ারের টার্নওভার বেড়েছে ২২ শতাংশ। চলতি অর্ধবার্ষিকে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। চলতি প্রথমার্ধে কোম্পানির সুদ ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আয় বেড়েছে।
ফলে আগের বছরের অর্ধবার্ষিকীর চেয়ে চলতি বছর কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। চলতি অর্ধবার্ষিকে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৫৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের। তৃতীয় প্রান্তিকে শেষে বারাকা পাওয়ারের কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথমার্ধে জিবিবি পাওয়ারের আয় সামান্য বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৮ পয়সায়, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা।
পুঁজিবাজারে জ্বালানি খাতের সবচেয়ে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি হচ্ছে বিডি ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডস। ২০১৪ সালে কোম্পানিটি সামান্য মুনাফায় থাকলেও চলতি বছরের শুরু থেকেই এটি লোকসানে পড়ে। চলতি অর্ধবার্ষিকে কোম্পানির লোকসান হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা আগের বছর ৭০ লাখ টাকা মুনাফায় ছিল। শেয়ার কারসাজির দায়ে সম্প্রতি এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম নুরুল ইসলামকে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে হঠাৎ করেই পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের। আগের বছরের চেয়ে চলতি অর্ধবার্ষিকে কোম্পানির টার্নওভার সামান্য বাড়লেও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মুনাফা সংকুচিত হয়েছে। মূলত দ্বিতীয় প্রান্তিকে পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময়ে কোম্পানির টার্নওভার ছিল ১০২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৯ কোটি টাকা।
আগের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির পরিচালন ব্যয় ছিল ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা চলতি বছরের একই সময়ে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ কারণে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা কমে গেছে। চলতি অর্ধবার্ষিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
আগের বছরের প্রথমার্ধের চেয়ে গেল অর্ধবার্ষিকে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও উৎপাদন খরচ বেড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের। একই সঙ্গে প্রশাসনিক ও বিক্রি বাবদ খরচও বেড়েছে, যে কারণে কোম্পানির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কমেছে। ২০১৪ সালের তুলনায় চলতি প্রথমার্ধে কোম্পানির টার্নওভার ৬ শতাংশ বেড়ে ৪৩৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এছাড়া সুদ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চলতি প্রথমার্ধে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা আগের বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় ২৪ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা ৩৬ শতাংশ কমেছে।
বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) সুদ বাবদ আয় কমলেও পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। সরকারি মালিকানাধীন এ কোম্পানির টার্নওভারও আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির টার্নওভার ছিল ১ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি পরিচালন মুনাফায় লোকসানে থাকলেও চলতি বছর ৭৪ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির সুদ আয় কমলেও কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১১৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৫০ শতাংশ বেশি।
পরীক্ষামূলক পর্যায় থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে ফিরেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড। কোম্পানিটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস কনডেন্সড কিনে তা থেকে জ্বালানি তেল পরিশোধন করছে। ২০১৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির কোনো টার্নওভার না হলেও চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাণিজ্যিক উৎপাদনে ফিরে ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এ সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটি লোকসানে ছিল।
দেখা যাচ্ছে, জ্বালানি খাতের অধিকাংশ বেসরকারি কোম্পানির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি থাকলেও পিছিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। কয়েক বছর ধরেই সরকারি কোম্পানির মুনাফার প্রধান উৎস হচ্ছে সুদ আয়। তবে এবার সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর টার্নওভার যেমন কমেছে, তেমনি কমছে সুদ আয়। বড় অঙ্কের ব্যাংকঋণের সুদ বাবদ ব্যয়ের কারণে লোকসানে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা হলেও ঋণের কিস্তি ও সুদ বাবদ ১৮৯ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। ফলে কোম্পানিকে ৫ কোটি টাকা লোকসানে পড়তে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি ৭৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল।
সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টের আয় এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ৬৪ শতাংশ কমে গেছে। ২০১৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। আয় কমেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়ামেরও।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৪১ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম। আর টার্নওভারে সামান্য প্রবৃদ্ধি থাকলেও পদ্মা অয়েলের নেট মুনাফা কমেছে। পরিচালন মুনাফা বাড়লেও অন্যান্য আয় কমে যাওয়ার কারণেই কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ কমেছে।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৫৭ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েলের পরিচালন আয়ের চেয়ে অন্যান্য আয় বেশি। চলতি তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির পরিচালন আয় হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। আর এ সময়ে অন্যান্য আয় দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) পরিচালন আয়ে লোকসান করে।
তবে অপরিচালন মুনাফার কারণে চলতি তৃতীয় প্রান্তিক শেষে যমুনা অয়েলের কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৪৩ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে তিতাস গ্যাসের টার্নওভার বেড়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময়ে পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ে সুদ বাবদ আয় হয়েছে ১০২ কোটি টাকা। কর-পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ছিল ২৩৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা