শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “আইন অনুসারে বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আগে যে নির্দেশনা দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “এজন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আমরা এটা কঠোর ভাবে মনিটরিং করছি। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে যেহেতু সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে আইনে যেহেতু আছে, আইন তো মানতেই হবে।” ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বীমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আইআরএফ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো তদারকি করার জন্য ৪৫ জন নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ৪৫টি সাধারণ বীমা কোম্পানির কার্যক্রম নিরীক্ষা করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ বীমা কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। আইআরএফ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাওলা’র সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, একটি জীবন বীমা কোম্পানি যখন সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ না করে, তখন এক ধরনের বদনাম ছড়ায়। এ কারণে আমরা জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সুপারভাইজরি লেভেল এবং কমিশন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে’। এ সময় বীমা খাতের কিছু সমস্যাও তুলে ধরেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে জনবল সংকটকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রায় ২ কোটি গ্রাহক। এই বিপুল জনগোষ্ঠী যে সেক্টরে জড়িত, তার নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ মাত্র ৩১ জন জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গাও নেই। তবে আমাদের জনবল কাঠামো চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি এখন আমরা আরও কিছু জনবল নিয়োগ দিতে পারবো।