শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ব্যবসা সম্প্রসারণে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি। ব্যবসা সম্প্রসারণে কোম্পানিগুলো মোট ৩০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার মত বিনিয়োগ করবে। কোম্পানিগুলো হলো: বিএসআরএম স্টিলস, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ম্যারিকো, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বিবিএস কেবলস, স্কয়ার টেক্সাটাইল, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং কেডিএস এক্সেসরিজ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসআরএম স্টিলস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হবে। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা কোম্পানিটি নতুন আরেকটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নতুন প্ল্যান্টটির বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা হবে ৫ লাখ মেট্রিক টন এমএস (Mild Steel) প্রোডাক্টস। দেশে এমএস প্রোডাক্টসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই প্ল্যান্ট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড। কোম্পানিটির নতুন প্ল্যান্ট ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ উৎপাদনে আসতে পারে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে।

নাহি অ্যালুমিনিয়াম: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেলের পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য জমি, বিল্ডিং এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এতে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। কোম্পানিটি আরো জানিয়েছে, ভবিষ্যত ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য রিটেইন্ড মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আর এ কারণে কোম্পানিটি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।

ম্যারিকো: উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বড় আকারের বিনিয়োগে করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্যমত, গত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিনিয়োগ পরিকল্পনা অনুসারে বর্তমান প্রকল্পের উৎপাদনসক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন কারখানা স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সেখানে ২২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।

বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আবাসন খাতের এ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৭ টাকা বিনিয়োগ করবে। এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি বিএমআরই, মেশিনারিজ এবং জমি ক্রয় বাবদ খরচ কববে। ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে নিরীক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।

যার মধ্যে ৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিবে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) হয়েছে ০.৭০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১.৮০ টাকা। এছাড়া কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৫.৭০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনএভি ছিল ১৫ টাকা।

বিবিএস কেবলস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ১৭ কোটি ৫০ লাখ বিনিয়োগ করবে। এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি জমি ক্রয়, বিল্ডিং এবং মূলধনী মেশিনারিজ ক্রয় বাবদ খরচ কববে।

৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে নিরীক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। যার মধ্যে ১০ শতাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিবে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) হয়েছে ৬.৬৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৮.৩৪ টাকা। এছাড়া কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩২.৫২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনএভি ছিল ২৬.৭৭ টাকা।

স্কয়ার টেক্সাটাইল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের এ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৩০ কোটি বিনিয়োগ করবে। এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি বিএমআরই বাবদ খরচ কববে। ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে নিরীক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।

আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) হয়েছে ০.২৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২.১৮ টাকা। এছাড়া কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩৬.২৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনএভি ছিল ৩৮.০২ টাকা।

স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি বিএমআরই, মূলধনী মেশিনারিজ এবং জমি ক্রয় বাবদ খরচ কববে। ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে নিরীক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৫২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।

যার মধ্যে ৪৭ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিবে। আলোচিত সময় কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে (ইপিএস) হয়েছে ১৫.৮২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১৪.৯৮ টাকা। এছাড়া কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৯১.৫৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনএভি ছিল ৮০.৪০ টাকা।

কেডিএস এক্সেসরিজ: ব্যবসা সম্প্রসারণে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড। আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যবসা সম্প্রসারেণর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, এরই অংশ হিসেবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে নতুন মেশিদ স্থাপন করা হবে। কোম্পানিটি ৯১ হাজার ডলার ব্যয়ে ক্রোচিট এবং ফ্লেক্সো প্রিন্টিং মেশিন প্রতিস্থাপন করবে। এতে বছরে ৪ কোটি পিস পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।সুত্র: দেশ প্রতিক্ষণ