শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে হার্ডলাইনে অবস্থান করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাজারে যাতে কোম্পানিগুলো কোন অনিয়ম না করে সেই লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউসসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রেখেছে। তাছাড়া কোম্পানিগুলো অনিয়ম করলো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান কমিশনে চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে গত দেড় মাসে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এরমাধ্যমে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি বার্তা এরইমধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন মনে করছে। বাজারের উন্নয়নে এ ধারা আগামিতেও বজায় রাখতে হবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এমন জরিমানার মধ্যেও গত কয়েকদিনে দূর্বল বা জাঙ্ক শেয়ারের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দ্বিগুণ হবে, তিনগুণ হবে বলে প্রচারনা চালিয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে অবৈধভাবে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

বিভিন্ন অনিয়মের কারনে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ও তুং হাই নিটিংয়ের সব পরিচালকের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ (ফ্রিজ) করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে ঊভয় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বলা হয়েছে।

আজ বিএসইসির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৩ পরিচালক আইন না মেনে শেয়ার বিক্রি করেছে। এছাড়া কোম্পানি দুটি নিয়ম অনুযায়ি কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জে রিপোর্টস দাখিল করেনি।

এ কারনে ৭৩৩তম কমিশন সভায় কোম্পানি দুটির পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমতাবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি বিএসইসি অনুরোধ করেছে।

এর আগে গত ২৯ জুলাই বিএসইসির ৭৩৩তম সভায় সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস রুখসানা মোর্শেদকে ৮ কোটি টাকা, পরিচালক শারমিন আক্তার লাভলিকে ৪ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সু ইন্ডাস্ট্রিজকে ২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে কমিশন। একই কমিশন সভায়, বিধি মোতাবেক মাসিক ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারহোল্ডিং প্রতিবেদন দাখিল না করায় সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল এবং তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতিত) ১ কোটি টাকা করে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।