শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরেই একটা অস্থিরতা, চরম অনিশ্চয়তা এবং টানা দরপতনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছিলো দেশের পুঁজিবাজার। তার চেয়ে বড় সংকট ছিলো এ বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা এবং বিনিয়োজিত মূলধনের ঘাটতি। কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছিলো না, ঠিক সেই মুহূর্তেই যেন একটা কাণ্ডারির ভূমিকায় হাজির হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে নেয়া হলো এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। যে উদ্যোগের মধ্যদিয়ে তলানীতে থাকা পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ দরকার তার তহবিল জোগানে যাতে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ তৈরি হয়।

সময়োচিত এই উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু পরিকল্পনাতেই থেমে থাকেনি, বরং সর্বজনীন বাস্তবায়নের বিষয়েও সুদূরপ্রসারী দূরদৃষ্টি নজর রাখা হয়েছে। কেউ মানলো কেউ মানলো না- এমন প্রবণতা এড়াতে গত সোমবার সবার জন্য নির্দেশনামূলক একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সকল ব্যাংককে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়।

এর ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য দেশে প্রচলিত সবকটি ব্যাংক নিজস্বভাবে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। যার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সৃষ্ট নগদ অর্থের সংকট বা মূলধন ঘাটতি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা বিশেষ তহবিলের সার্কুলারে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগে কোনো শর্তারোপ করা হয়নি। ফলে ব্যাংকগুলো এখন তহবিলের জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে। ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগযোগ করছে। আগামী সপ্তাহে জানা যাবে কোন্ কোন্ ব্যাংক তহবিল নিচ্ছে।