শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী দিকনির্দেশনা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ দেশের পুঁজিবাজারকে নতুন গতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরের এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এ কথা বলেন।

এ সময় বিএমবিএ’র সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার, নুর আহমেদ, মোহাম্মদ হামদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ছায়দুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে বিশ্লেষনে বুঝা যায় বাজারে অর্থের যোগান কম ছিল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য বাজার মধ্যস্থতাকারিদের অংশগ্রহন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহনের সুযোগ করার জন্য অর্থমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলাম। কোন প্রকার দান বা ভর্তুকির প্রস্তাব করি নাই।

বক্তব্যের প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী দিকনির্দেশনা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ দেশের পুঁজিবাজারকে নতুন গতি দিয়েছে। আমরা আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অর্থমন্ত্রী, অর্থ উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সকলেই অবহিত আছি যে, বিভিন্ন কারনে দীর্ঘদিন যাবত পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক ছিল। সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার উন্নয়নের উদ্দ্যোগ নেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক এক যুগান্তকারি নীতি সহায়তার সার্কুলার দিয়েছে যা ইতিমধ্যে বিনিয়োগকারিদের মধ্যে আগ্রহ ও সাহস যোগাচ্ছে। এ সহায়তা কোন প্রকার দান বা ভর্তুকি নয়। এটি নিয়ে অপপ্রচার করার কোন যৌক্তিকতা নেই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য বিষয়ে নিম্নেলিখিত বিষয়াদি গুরুত্ব দিয়েছেন। এগুলো হলো:

০১. পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহন বৃদ্ধি করা।

০২. মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা ব্যবস্থা করা। আইসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

০৩. বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।

০৪. প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দ্যোগ গ্রহন করা।

০৫. বাজারে আরো ভালো ও মানসম্পন্ন আইপিও তালিকাভূক্তির লক্ষ্যে বহুজাতিক কোম্পানী ও সরকারী লাভজনক কোম্পানী সমূহকে তালিকভূক্তির উদ্দ্যোগ নেয়া।