শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর নিয়ে কারসাজিতে মেতেছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। এ কোম্পানির টানা বৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের নিয়ন্ত্রক কার হাতে।

তবে কর্মাস ব্যাংকের সাইফুল ইসলাম এ শেয়ারের কারসাজির মুল হোতা বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। তাছাড়া বিক্রেতা সংকটে পড়ে টানা হল্টেড অবস্থা অব্যাহত রয়েছে । গত ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ। এছাড়াও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সবোর্চ্চ দরে অবস্থান করছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের।

ইতিমধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শোকজ করেছে। তারপরও থামছে না কোম্পানির শেয়ারদর। আজ বুধবারও কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়ে টপটেন গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর ৩.২০ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধি বা গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইড তথ্যানুযায়ী, গত মঙ্গলবার ৮ জানুয়ারী কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি নিয়ে কোন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কিনা তা জানতে কোম্পানিকে শোকজ করে ডিএসই। কিন্তু শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানায় কোম্পানিটি।
বাজার বিশ্লষণে দেখা যায়, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে টানা বাড়ছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর।

ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর যেখানে ছিল ২২.৮০ টাকা। তা আজ ৯ জানুয়ারী পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ টাকায়। সে হিসেবে গত ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২০.২০ টাকা বা ৮৮.৫৯ শতাংশ।

আজ বুধবার কোম্পানিটি ৩৩৫ বারে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৮টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ৭৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানির শেয়ারদর ৩৯.৭০ টাকা থেকে ৪৩ টাকায় উঠানামা করে সর্বশেষ ৪৩ টাকায় লেনদেন হয়।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির ইউনাইটেড ইন্সুরেন্সের অনুমোদির মূলধন রয়েছে ৫০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৪২ কোটি টাকা। কোম্পানিটির ৪৫.৫৬ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পারিচালকের কাছে, ২৫.৮৯ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ২৮.৫৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

কোম্পানিটি গত ৫ বছর যাবত ১০ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। গত ৫ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা সর্বোচ্চ ছিল ৩.১১ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২.৪৭ টাকা।