doreen powerশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডোরিন পাওয়ার অ্যান্ড জেনারেশনসের শেয়ার দর ১৭.৬০ টাকা বা ২১.৭৬ শতাংশ বেড়ে টার্ণওভারের শীর্ষে ওঠে এসেছে। মুলত ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রভাবেই এ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে এর পেছনে রয়েছে অন্য আরেক তথ্য।

জানা যায়, ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা; যা আগের বছরের তুলনায় ৫১৭ শতাংশ বেশি। আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩৬ পয়সা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা নর্দার্ণ পাওয়ার ও ঢাকা সাউদার্ন পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেডের বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু করার কারণে প্রথম প্রান্তিকে ডোরিনের ইপিএস বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা নর্দার্ণ পাওয়ার জেনারেশনস গত ১৭ আগস্ট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। আর ঢাকা সাউদার্ন পাওয়ার গত ১৭ জুন বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে।

ডোরিন পাওয়ারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬ মেগাওয়াট। সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা নর্দার্ন পাওয়ারের ক্ষমতা ৫৫ মেগাওয়াট এবং ঢাকা সাউদার্ন পাওয়ার জেনারেশনের ক্ষমতা ৫৫ মেগাওয়াট। সব মিলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৭৬ মেগাওয়াট।

এদিকে, কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২০ শতাংশ স্টক ও ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। গত শনিবার ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া জুলাই’ ১৬-সেপ্টেম্বর’ ১৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে।

আর এ কারনেই ডোরিন পাওয়ার ডিএসই ও সিএসই’তে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। গতকাল ডিএসই’তে ডোরিন পাওয়ারের মোট ৫৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩টি শেয়ার ৫ হাজার ৯৮৬ বার হাত বদল হয়। যার বাজার মূল্য ৫১ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। সিএসই’তে ডোরিন পাওয়ারের মোট ২ লাখ ৬২ হাজার ২২২টি শেয়ার ৮২৫ বার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইটিসির শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা, এমজেএল বিডির ১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা, সাইফ পাওয়ারে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের ১২ কোটি ৫৯ লাখ ১২ হাজার টাকা,

ন্যাশনাল ব্যাংকের ১২ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, গ্রামীন ফোনের ৯ কোটি ৯২ লাখ ৯ হাজার টাকা, ফরচুন সুজের ৮ কোটি ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, বিএসআরএম লিমিটেডের ৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, তিতাস গ্যাসের ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা, ইয়াকিন পলিমারের ৮ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, আর্গন ডেনিমসের ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা,

স্কয়ার ফার্মার ৭ কোটি ২৫ লাখ ২ হাজার টাকা, হামিদ ফেব্রিক্সের ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭২ হাজার টাকা, লাফার্জ সুরমার ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা, কেডিএস এক্সেসরিজের ৬ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, ডেল্টা স্পিনিংয়ের ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৬ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং সাবমেরিন ক্যাবলসের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, সিএসই’তে লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ কোটি ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা, বিএসআরএম লিমিটেডের ১ কোটি ৬৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, গ্রামীন ফোনের ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ইয়াকিন পলিমারের ১ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা, সাইফ পাওয়ারের ১ কোটি ৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা,

সাবমেরিন ক্যাবলসের ৯৮ লাখ ৯ হাজার টাকা, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আইটিসির ৬২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, বিডি কম্পিউটারের ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা,

আরামিট সিমেন্টের ৬০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, লাফার্জ সুরমার ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, জেনারেশন নেক্সটের ৪৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৪৫ লাখ ৮ হাজার টাকা, ফ্যামিলি টেক্সের ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, এমজেএল বিডির ৪০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা এবং কেয়া কসমেটিক্সের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৩৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা।