forasuddin lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুটতরাজ ঘটনায় সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, সরকারকে তার নীতি কৌশল পরিবর্তন করে সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে শিল্পের বিভিন্ন সেক্টরে এবং বৃহৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসতে হবে।

আর এটা করতে না পারলে তা সরকারের ব্যর্থতা, তবে এটা পারা উচিত, কারণ সেই সক্ষমতা আমাদের আছে। সরকারের হাতে একটি মাত্র ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক) রেখে আর সব সরকারী ব্যাংক বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া উচিত।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে একটি সপ্তাহকে। মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেরে মানুষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে শুক্রবার অফিস করে। তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়?

শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) বাজেট বিষয়ক একটি ধারাবাহিক কর্মসূচীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পিআইবির সহযোগিতায় ঢাকায় কর্মরত অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরইফ) এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।

সরকারকে ফরাসউদ্দিনঃ লিস্টেড নন লিস্টেড সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বছর জানুয়ারি-ডিসেম্বর করুন অনুষ্ঠানে ড. ফরাসউদ্দিন, দেশের ব্যবসা বানিজ্যের স্বার্থে লিস্টেড নন লিস্টেড ভেদে সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বছর জানুয়ারি-ডিসেম্বর করার প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে সরকারের উচিত জুলাই থেকে জুন অর্থবছরের পরিবর্তে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর অর্থবছর চালু করা । আর এটা আমাদের দেশে একসময় ছিল।

কিন্তু পাকিস্তান আমলে জুলাই-জুন অর্থবছর চালু হয়, যা এখনো আছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য জানুয়ারিতে অর্থবছর শুরু হওয়া ভালো। এসময় বৃষ্টি বাদল নেই, মানুষের মন প্রফুল্ল্ থাকে। আর মে-জুন মাসে মাটির কাজ শুরু করলাম, পানির নিচে চলে গেলে। বিল করলাম টাকা তুললাম, এটা বড় লুট। এতে যারা সুবিধাবাদী তারাই লাভবান হয়।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশ ৬ দিনের সপ্তাহ শুধু আমরাই পারলাম না। আমাদের শুক্রবার-শনিবার ছুটি হওয়ায় এবং বাইরের দেশগুলোতে রোববার ছুটির দিন হওয়ায় আমরা সপ্তাহে চারদিন ওয়ার্কিং ডে পাই। এটা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে ব্যাংক, শেয়ারবাজার, উৎপাদন, অগ্রগতি সবই ব্যাহত হচ্ছে।

ই-কমার্স সেক্টরকে করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, সবাই এখন এদিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, এদেরকে কোন ভ্যাট দিতে হয় না। কত বিক্রি হল, কত প্রবৃদ্ধি হল তার কোন হিসাব নেই। আমি বলব এ খাতকে করের আওতায় আনেন, অনেক রেভিনিউ আসবে।