বিনিয়োগকারীদের নতুন আতঙ্ক সি.ই.ও সিন্ডিকেট
শেয়ারবাজারের সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন আতঙ্ক হয়ে দাড়িয়েছে এই সি.ই.ও সিন্ডিকেট । বিশেষ করে ২০১১/২০১২ সালে মার্জিন লোন নিয়ে ব্যাবসা করতে আসা বিনিয়োগকারীদের জন্য । ২০১১/২০১২ সালে যারা মার্জিন লোন নিয়ে শেয়ার কিনেছেন বর্তমানে তাদের মধ্যে ৯০% বিনিয়োগকারীর ইকুইটি মাইনাসে অবস্থান করেছে এবং এদের মধ্যে অনেক বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন তাদের টাকা হয়তো আর কোনদিন ফেরৎ আসবে না,
এই জাতীয় পোর্টফোলিও তে হাজার হাজার কোটি টাকা আটকে আছে । আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে মার্চেন্টব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের সি.ই.ও – রা । অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকের সি.ই.ও রা ইকুইটি মাইনাসে থাকা বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়েছেন ।
এই সকল সি.ই.ও দের বা তাদের আত্বিয়স্বজনদের রয়েছে বড় বড় পোর্টফোলিও । যখন তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিও এর শেয়ার প্রফিটে চলে যায় তখন সেল দেয় এবং বাই করে তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকা ঐ সকল সাধারন বিনিয়োগকারিীদের পোর্টফোলিও তে ।
আবার যখন তাদের পোর্টফোলিওতে বাই করে তখন সেল করে সাধারন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার । এর ফলে সেল–বাই উভয়ই ক্ষেত্রেই ইকুইটি বেড়ে যাচ্ছে তাদের পোর্টফোলিওতে, আর তাদের নিয়ন্ত্রনে মাইনাস ইকুইটির বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও এর ইকুইটি আরও মাইনাস হচ্ছে ।
অনেক সি.ই.ও দের সাথে অনৈতিক ( আর্থিক ) সম্পর্ক আছে বড় বড় মামুদের সাথে । যখন মামুদের শেয়ারের দরকার পড়ে তখন তারা সেল করে ইকুইটি মাইনাসে থাকা মার্জিন লোন গ্রহনকারী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার, আবার যখন মামুদের শেয়ার সেল করার দরকার দরকার পড়ে তখন এই সি.ই.ও রা বাই করে নেয় সাধারন বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও তে ।
আর এই কাজের জন্য এই সকল দুর্নিতিবাজ সি.ই.ও রা মামুদের কাছ থেকে পাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা । লো–পেইডের এই বাজারে অনায়াসে এই সব কাজ করতে পারছে তারা । এই সব অনৈতিক কাজের জন্য যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মার্জিন লোন গ্রহনকারী বিনিয়োগকারীগন, তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ২০১০/২০১১ সালে আসা কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক ।
বি:দ্র: এই লেখার জন্য শেয়ারবার্তা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। এটা বিনিয়োগকারীদের একান্ত মন্তব্য