dse-cseচট্রগ্রাম ব্যুরো, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠছেন চট্রগ্রামের বিনিয়োগকারীরা। তারা বর্তমান বাজার নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন। বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার থাকলে নতুন করে বিনিয়োগমুখী হবেন বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহজুড়ে চট্রগ্রামের সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের সরব উপস্থিতি ছিল।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতার কারনে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ ছিলেন। তবে সরকারের এক নির্দেশনায় বৃহস্পতিবারই পাল্টে গেছে বাজারের চিত্র। ওই দিন রাতে অর্থমন্ত্রনালয়ের এক চিঠি হাতে পায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার সেই চিঠির কার্যকারিতা শুরু করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফিরে আসে প্রাণ চাঞ্চল্য।

এছাড়া গত সপ্তাহে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার পথে এগুচ্ছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা। তারা গত সপ্তাহের বাজার পরিস্থিতি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তেমনি পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ২০ শতাংশ কোটার সময়সীমা ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলে তারা মনে করেন।

যার ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বাড়ে ২২ পয়েন্ট আর লেনদেন ছাড়িয়ে যায় ৪০০ কোটি টাকারও বেশি। কাল (৩ এপ্রিল) নতুন সপ্তাহ শুরু হলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাজার শুধু সামনের দিকে আগাবে এই আশা বাদ ব্যক্ত করেছেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী।

একাধিক বিনিয়োগকারীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকলেও বেশকিছু ধরে বাজার অস্থির ছিল। পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ২০ শতাংশ কোটার সময়সীমা ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। বাজার ভালো করতে এখন প্রয়োজন শুধু বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আশা করা হচ্ছে ১৫ দফা নির্দেশনার মাধমে বিনিয়োগকারীদের সে আস্থা ফিরে আসবে। এই জন্য বিনিয়োগকারীদের একটু ধৈর্য্য ধারন করতে হবে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে এখন মূল সমস্যা আস্থাহীনতা, পুঁজি নয়। অব্যাহত দপরতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি তাদের আস্থা ধরে রাখতে পারছেন না ফলে বাজারবিমুখ হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে ১৫ দফা নির্দেশনার মাধমে বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে আস্থা ফিরে আসবে।