পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফিড লিমিটেডের ডিভিডেন্ড নিয়ে বাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এ গুজবকে কেন্দ্র করে এক শ্রেনীর বিনিয়োগকারীরা নতুন করে আমান ফিডে বিনিয়োগ করছেন।

তবে  হুজগে পড়ে যারা বিনিয়োগ করে তাদের লোকসানের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এদিকে কোম্পানিটি ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষনা করেনি।

তাই এবছর অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরসহ মোট ৪ বছরের ডিভিডেন্ড একসঙ্গে প্রদান করবে আমান ফিড। সম্প্রতি পুঁজিবাজারে আমান ফিডের ডিভিডেন্ড নিয়ে এ ধরণের গুজব বাজারে ছড়ানো হয়েছে। এদিকে আমান ফিড নিয়ে এ ধরণের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, আমান ফিড ২০১০-১১ অর্থবছরে ৪ হাজার ৯০০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে কোম্পানির মূলধন এক কথায় আঙ্গুলকে ফুলিয়ে কলাগাছ বানিয়েছে। তার পরের বছর কোম্পানিটি ৫০০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে মূলধন আরো বাড়ানো হয়। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো ডিভিডেন্ড এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি।

অর্থাৎ ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ এই তিন অর্থবছরে কোম্পানিটি কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। ইতিমধ্যে আমান ফিডের ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি বিগত ৪ বছর ধরে কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি। আর এ নিয়েই বাজারে গুজব উঠেছে।

বলা হচ্ছে, কোম্পানিটি বিগত ৪ বছরের ডিভিডেন্ড একসঙ্গে প্রদান করবে। উদাহরণ হিসেবে ইউনাইটেড পাওয়ার কোম্পানিকে টেনে নেয়া হয়েছে। এদিকে কোম্পানিটি বিগত ৪ বছরের নয় বরং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ডিভিডেন্ড প্রদান করতে পারে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সচিব নন্দন চন্দ্র দে।

তিনি জানান, যেহেতু আগের তিন বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐ তিন বছরে আমান ফিড ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করে। অর্থাৎ বিগত তিন বছরের ডিভিডেন্ড দেয়ার কোনো সুযোগ কোম্পানির নেই।

স্টাফ রিপোর্টার