সি পার্লের ৩৫০ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনবে জেম গ্লোবাল
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৩৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনবে লুক্সেমবার্গ ভিত্তিক জেম গ্লোবাল ইল্ড এলএলসি এসসিএস। সি পার্ল বিচ রিসোর্টের দুটি প্লেসমেন্টহোল্ডার প্রতিষ্ঠান ও একজন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার সম্মিলিতভাবে জেম গ্লোবালের কাছে এই শেয়ার বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে সি পার্লের ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার ধারণ করছে। যার মধ্যে প্লেসমেন্টধারী বেঙ্গল ভেকেসন ক্লাব লিমিটেড ১ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ২৯৬টি ও ভেনাস বিল্ডার্স লিমিটেড ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬১টি সি পার্লের শেয়ার ধারণ করছে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এই শেয়ার কেনাবেচার চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে । বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বিএসইসির শর্তানুযায়ী, চার ধাপে আগামী এক বছরের মধ্যে জেম গ্লোবালের কাছে তারা শেয়ারগুলো বিক্রি করবে। শেয়ারগুলোর বাজার দাম হবে কমবেশি ৩৫০ কোটি টাকা।
সি পার্ল বিচ রিসোর্টের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে শেয়ার ক্রয় চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এসব শেয়ারের লেনদেন মূল বাজারের বাইরে সম্পন্ন করা হবে। সি পার্লের সর্বোচ্চ ৯.৯০ শতাংশ শেয়ার জেম গ্লোবাল ইল্ড ধারণ করতে পারবে। প্রতিবার শেয়ার বিক্রির সময় বিএসইসির পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঘোষণা দিতে হবে।
জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা যেদিন শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেবেন, সেদিন থেকে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের ওয়েটেড এভারেজ প্রাইসের ১০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে জেম গ্লোবালের কাছে শেয়ার বিক্রি করবেন।
২০১৯ সালে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়াবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে সি পার্লের পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৬.৮৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে ২৪.৩৯ শতাংশ শেয়ার। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৮.৭৮ শতাংশ শেয়ার।
আগামী ২৬ অক্টোবর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।
আগের বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।
আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৯২ টাকা ৩০ পয়সা। তবে লেনদেনের এক পর্যায়ে কোম্পানিটির শেয়ার ১৯০ টাকা ৪০ পয়সায় ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। তবে শেষদিকে শেয়ারটির ক্রেতারা ফিরে আসে। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩২৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪০ টাকা ৪০ পয়সা।