শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির অনুমোদিত মূলধন আড়াই কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির এই তথ্য বিনিয়োগকারীরা জানে না। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, কোম্পানিটির মূল্য সংবেদনশীল এই তথ্য কোম্পানি এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানায়নি। তাদের কাছে এই তথ্য গোপন করা হয়েছে।

এদিকে কোম্পানিটি থেকে সংবেদনশীল এই তথ্য না জানানোর দায়ভার চাপানো হচ্ছে ডিএসইর ওপর। কোম্পানি বলেছে, তারা তথ্যটি ডিএসইকে জানিয়েছে। তথ্য প্রকাশ করা বা না করা ডিএসইর বিষয়।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে কোম্পানিটির নাম পরিবর্তনের বিষয় ডিএসই থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। অথচ ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির প্রোফাইলে অনুমোদিত মূলধন আড়াই কোটির স্থানে ৩০ কোটি টাকা দেখানো হচ্ছে, যা কোম্পানি থেকে জানানো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। কিন্তু তথ্যটি ডিএসইর নিউজ আর্কাইভে প্রচার করা হয়নি।

অন্যদিকে, শুধু ডিএসইকে তথ্যটি জানিয়েই চেপে গেছে কোম্পানিটি। এই বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করা হয়নি; যা নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের তথ্য পিএসআই আকারে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

একই সঙ্গে কোম্পানিটির ওয়েবসাইটেও এই বিষয়ে কোনো পিএসআই প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। তাই শুধু ডিএসইকে জানিয়েই বিষয়টি গোপন রেখেছে কোম্পানিটি। বিনিয়োগকারীরা সংবেদনশীল এই তথ্য গোপনে কোম্পানির শাস্তির দাবি তুলেছেন। নানা অনিয়ম ও তথ্য ঠিকভাবে প্রকাশ করা বা বিনিয়োগকারীদের না জানানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বিএসইসির দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।

এদিকে, ডিএসইর তথ্য প্রকাশে এই ধরনের গাফিলতি প্রায়ই দেখা যায়। মাঝে মধ্যে ডিএসই ভুল তথ্য প্রকাশ করে। আর না হয় দেরিতে বা তথ্য প্রকাশই করেই না। ফলে বিনিয়োগকারী বিভ্রান্তেতে থাকেন এবং অনেক সময় সঠিক তথ্য না জেনেই বিনিয়োগ করেন। এতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাদের।

তাই ডিএসইর এই ধরনের সমস্যা ও গাফিলতির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির দাবিও জানায় বিনিয়োগকারীরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সমাধানের বিষয়ে বিএসইসির বলিষ্ট ভূমিকা চান তারা।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ অনুষ্ঠিত অ্যাম্বি ফার্মার এজিএমে কোম্পানির নামের শেষে লিমিটেডের পরিবর্তে পিএলসি এবং কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন আড়াই কোটি টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকায় বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই বিষয়ে কোম্পানিটির সচিব মোহাম্মদ আমির হোসাইন বলেন, তথ্য প্রকাশ করা বা না করা ডিএসইর বিষয়। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা ডিএসইকে সব তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। তাদের জানিয়েই সব কিছু করা হয়ে থাকে।