শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, দেশের অর্থনীতির উত্থানে ওয়ালটন যে ভূমিকা রেখেছে তা অবিস্মরণীয়। ওয়ালটন দেশীয় প্রযুক্তিকে বিদেশে রপ্তানির পাশাপাশি সবচেয়ে বড় যে কাজটি করছে তা হলো দেশীয় লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এখন আর শিক্ষিত জনশক্তিকে কাজ করতে দেশের বাহিরে যেতে হচ্ছে না। উল্টো বাহিরের দেশ থেকে এক্সপার্টগণ আমাদের দেশে আসছে কাজ করতে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটির বসুন্ধরা হলে ওয়ালটন আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের জনসংখ্যা আজ জনসম্পদে পরিণত হয়েছে। অতীতে আমরা পরাধীন থাকা অবস্থায় পৃথিবীর তিনটি শিল্পবিপ্লব থেকে বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু এখন আমাদের সামনে ৪র্থ শিল্পবিপ্লব। বাংলাদেশের টেকনোলজির এই মার্কেটে যদি ওয়ালটন না থাকতো তবে বিদেশে আমাদের এখন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হতো। যেগুলা আমরা বাহির থেকে ইমপোর্ট করতাম তা এখন আমরা এক্সপোর্ট করছি। ওয়ালটন চিন্তা করছে খুব শিগগিরই তারা ১০ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করবে এবং তা সফল হবে।

এটিএস এক্সপো সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ওয়ালটনের এই এটিএস এক্সপোতে হেটে দেখার পর আমার মনে হচ্ছে ওয়ালটন এখন উন্নত দেশেগুলার ন্যায় এক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেশে নিয়ে এসেছে। আমি চাই এটা আরও এগিয়ে যাক। আমাদের ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশে সুন্দর একটি ব্যবসায়িক এনভায়রনমেন্ট তৈরি করে দিয়েছে। আমি আশাকরি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে দেশীয় শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। আশা করছি, এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও বজায় থাকবে।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গোলাম মুর্শেদ বলেন, শিল্প ও উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের যে সম্ভাবনাময় অবস্থান আছে, ওয়ালটন তার কাজের মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করেছে। সরকারের নীতিসহায়তা ও গ্রাহকদের আস্থার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এ যাত্রা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিসরে বড় জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হবে।

শিল্পমেলায় মোট ২১টি স্টলে পণ্যসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পোনেন্টস, ম্যাটেরিয়ালস, সার্ভিসেস, টেস্টিং ল্যাব ও ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এক্সপোতে ১১ আগস্ট (শুক্রবার) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশীয় শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এটিএস এক্সপোতে টেস্টিং সলিউশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও প্রোডাক্ট- এই ৪টি ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।