শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড পর পর দুই বছর অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালে বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ি, কোম্পানিটির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়ার কথা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোম্পানিটি এখনো ‘বি’ ক্যাটাগরিতেই লেনদেন হচ্ছে। সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২০ অর্থবছরে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কিন্তু সেই ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীরা এখনো পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, কোম্পানিটি ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করেছে বলেও কোনো প্রতিবেদন স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রকাশ করেনি।এরপর জুন, ২০২১ এবং জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটি প্রান্তিক কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি যদি পর পর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দিতে না পারে, তাহলে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে শ্রেণিভুক্ত হবে। বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ি, কোম্পানিটি পর পর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। যে কারণে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাওয়ার পথে রয়েছে।

এমনি দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি চক্র হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কোম্পানিটির শেয়ার দীর্ঘদিন যাবত ফ্লোর প্রাইস প্রায় অবিক্রিত অবস্থায় পড়েছিল। চলতি জুলাই মাসে শেয়ারটি হঠাৎ নড়েচড়ে বসে। এরপর বিক্রেতা শুন্যের শেয়ার হিসাবে দেখাচ্ছে চমকের পর চমক। যদি এই চমকের পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে যেখানে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে মাসের পর মাস অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেখানে কারসাজিকারিরা দুর্বল ও পচা শেয়ার নিয়ে হঠাৎ উঠেপড়ে লেগেছে। এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিএসইসির কাছে দুর্বল ও পচা শেয়ার নিয়ে কারসাজির সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেছেন তাঁরা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসইর) ভারপ্রাপ্ত এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, যে সকল কোম্পানি ঠিকভাবে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়নি, সেই কোম্পানিগুলোর ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে ডিএসই।