শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য প্রায়ই ভুল বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আর ভুলে ভরা এসব তথ্য বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে। এসব তথ্য সঠিক বিবেচনায় বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নিজেদের স্বার্থ হাসিলে এক শ্রেণির চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এসব ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এসব কারণে ডিএসই-কে একাধিকবার ‘ব্যর্থ স্টক এক্সচেঞ্জ’ বলে তিরস্কার করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ডিএসই’র ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক রিপোর্ট করতে গেলে এমন তথ্য দেখা গেছে। এবিষয় একাধিক বিনিয়োগকারী ফোন করে জানিয়েছেন, বিদায়ী সপ্তাহে (০২-০৬ জুলাই’২৩) সাপ্তাহিক যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভুল তথ্য। সপ্তাহজুড়ে শেয়ার দর বৃদ্ধি, শেয়ার দর কমা বা লেনদেনের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। শুধু তালিকাই না, কোম্পানিগুলোর কি পরিমাণ শেয়ার দর কমেছে বা বেড়েছে, তার শতাংশও ঠিক নেই।

অথচ পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক অন্যান্য অ্যাপসগুলোর তথ্যে ভিন্ন আসছে। সেই অ্যাপসগুলোর তথ্যের সাথে ডিএসইর কোম্পানিগুলোর তথ্যের মিল থাকলেও সাপ্তাহিক তথ্যে মিল নেই। অর্থাৎ ডিএসইর রিসার্স টিম বিদায়ী সপ্তাহে যে তথ্য দিয়েছে, তার বেশিরভাগই ভুল তথ্য।

ডিএসইর সাপ্তাহিক রিপোর্ট বলছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে খান ব্রাদার্স, অলিম্পিক এক্সেসোরিজ এবং ফু ওয়াং ফুডের। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছিল ফু ওয়াং ফুডের। তারপরে অবস্থান করছে অলিম্পিক এক্সেসোরিজ এবং খান ব্রাদার্স পিপি।

একই অবস্থা শেয়ার দর কমার ক্ষেত্রেও। ডিএসইর তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে নর্দার্ণ জুট, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আরএসআরএম স্টিলের। কিন্তু বাস্তবে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স , নর্দার্ণ জুট এবং প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।

ডিএসইর এমন ভুল তথ্যের কারণে বিভ্রান্তিতে পড়েতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। তাই দেশের সবচেয়ে বড় পুঁজিবাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সতর্কতার সাথে তথ্য প্রকাশের আহবান জানান বিনিয়োগকারীরা।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, এমনিতেও ডিএসইর প্রায়ই একের পর সমস্যা লেগেই থাকে। কখনো লেনদেনে সমস্যা; আবার কখনো মোবাইল অ্যপসের সমস্যা। এখন আবার রিসার্স টিম সাপ্তাহিক তথ্য ভুল দিচ্ছে। যা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।