শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বিমা খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় ঢাকা স্টক ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। এর ফলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিন বাজারে উত্থান হলো। এদিন লেনদেন লেনদেন বাড়ার পেছনে শীর্ষ অবস্থানে চার খাত।

এর মধ্যে প্রথমত ডিএসইর লেনদেন বাড়ায় সবচেয়ে বেশি অবদান বীমা খাতের। লেনদেনে অংশ নেয়া ৫৬ টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ২৮টির দর বেড়েছে, ২০টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টির। ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১.১১ শতাংশ বা ১২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এই খাতে। এই খাতের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।

আজ কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১.৫৩ শতাংশ বা ৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এই খাতে। এই খাতের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। আজ কোম্পানিটির ২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তৃতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের অবদান ৬৭ কেটি ২৬ লাখ। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১.৪৭ শতাংশ। এই খাতের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্টিজ। আজ কোম্পানিটির ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। চতুর্থ স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের অবদান ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১.৪৩ শতাংশ। এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইয়াকিন পলিমার। আজ কোম্পানিটির ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে বিএসইসি-ডিএসই একের পর এক বাজার স্থিতিশীল রাখতে স্টেক হোল্ডার , মার্চেন্ট ব্যাংক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। ফলে পুঁজিবাজার ইস্যুতে সব মহলে আন্তকিতার ফলে ঈদের পরে লেনদেন বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, আজ বাজারে ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩ শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৭৮৫ কোটি ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩০ কোটি ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ৭৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম। দাম কমার তুলনায় বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে আট দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩১৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৭৮৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মাত্র ১ কার্যদিবসের ব্যবধানে ১৫৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গত বুধবার ডিএসইতে ৬০৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। আজ ডিএসইতে ৩৬৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির বা ২৭.৭ শতাংশ, কমেছে ৭৩টির বা ২০.১ শতাংশ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯০টির বা ৫২.২ শতাংশ কোম্পানির।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২৪ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৬ টির এবং ১০৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।