শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সরকারের সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর গত বছরের মার্চে কোম্পানিটির দুটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে ফিরে আসার পরেও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) লোকসানে রয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৭৮ কোটি ২২ লাখ টাকা নিট লোকসান করেছে।

কোম্পানিটি গত অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোনো আয়ের কথা জানায়নি। কেপিসিএলের দুটি বড় প্ল্যান্ট – কেপিসিএল-ইউনিট টু এবং ইউনিটি থ্রি ২০২১ সালের মে মাসে সরকারের সাথে তাদের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১০ মাস ধরে বন্ধ ছিল।

কোম্পানির আর্থিক বিবৃতি অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর গত বছরের মার্চে দুটি প্ল্যান্ট চালু হয়। ‘বিদ্যুত নেই, বেতন নেই’ নীতিতে কোম্পানিটির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার। কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। কিন্তু কেপিসিএল ২০২৩ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে ৭৮ কোটি ২২ লাখ টাকা নিট লোকসান করেছে। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির নিট লোকসান ছিলো ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে কোম্পানিটি গত অর্থবছরে প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এটির ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ২০২১ সালেও প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ৯১ পয়সা শেয়ার প্রতি আয় থাকলেও ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে এর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লোকসান হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে ১০০ কোটি টাকার রাজস্বের বিপরীতে কোম্পানিটির বাধ্যতামূলক ব্যয় ছিল ৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।২০২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা।

খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) গত বছরের এপ্রিলে এক্সেলরেট গ্লোবাল অপারেশনস এলএলসি নামে একটি মার্কিন সংস্থার সাথে ১৩০ কোটি টাকা টাকা মূল্যে তার ১১০ মেগাওয়াট বার্জ-মাউন্টেড পাওয়ার প্ল্যান্ট বিক্রি করতে চাইলেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।

কেপিসিএল দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী, যার দুই ইউনিট কেপিসিএল-ইউনিট টু এবং কেপিসিএল ইউনিট থ্রি এর মাধ্যমে ১৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কোম্পানিটির সরকারের সাথে এপ্রিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত একটি পিপিএ চুক্তি রয়েছে। কোম্পানিটি ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ারের প্ল্যান্টে ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক।