শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেশ তোড়জোড় চালালেও সুফল মিলছে না। অব্যাহত দরপতন আর লেনদেন খরার খপ্পড়ে পড়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পুঁজিবাজার। এতে প্রতিনিয়ত দরপতনে পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীদের হা-হুতাশ বেড়েই চলেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে তারল্য ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যে কারণে বাজারে গতি ফেরাতে সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তরিক হলেও সুফল মিলছে না।

বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থা সংকট বিরাজ করছে। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বিনিয়োগকারীদের দাওয়াত দিয়ে এনে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন বলে একাধিক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন।

এছাড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কার মধ্যে দেশে রিজার্ভের পতন ছাড়াও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিয়ে উৎকণ্ঠার কারণে গত তিন চার মাস ধরেই পুঁজিবাজার টালমাটাল। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শ তিনেক কোম্পানির শেয়ার একটি নির্ধারিত দরের নিচে নামতে না পারার বাস্তবতার মধ্যে লেনদেনও দৃশ্যত আটকে ৭০ থেকে ৮০টি কোম্পানিতে। কোনো দিন ৬০টির বেশি, কোনো দিন ৭০ টির বেশি, কোনো দিন ৮০টির বেশি কোম্পানির ক্রেতা উধাও হয়ে যায়।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও বাস্ততসম্মত ও যুগোপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বর্তমান পুঁজিবাজারে তারল্য সংকটে হাহাকার করছে। এ অবস্থায় আস্থা ও তারল্য সংকট দুর করতে হবে। তাদের মতে, পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে হলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পুঁজিবাজার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাংক খাতের সমস্যার সমাধানও করতে হবে।

এদিকে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩.৯৩ পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৫৬.৮২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ০.৪৮ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২০৮.৪৭ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ০.৫৩ পয়েন্ট বা ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭২.৯৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ ৪২৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪৩০ কোটি ২০ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৬টির বা ১১.১৪ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৫৩টির বা ১৬.৬১ শতাংশের এবং ২৩৪টির বা ৭২.৪৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪.১১ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৪৭.২১ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ ১৬১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৯টির আর ৯৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।