শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সুচকের বড় দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর ফলে টানা দুই কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল পুঁজিবাজার। এই দরপতনের মধ্যে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

তবে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে এমন গুজবে দিনভর সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ব্রোকার হাউজে ছড়িয়ে পড়া গুজবে এদিন শেয়ার বিক্রির চাপে পড়ে পুঁজিবাজার। এমন অবস্থায় ৩০৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৬২টি কোম্পানির শেয়ারে কোনো ক্রেতাই ছিল না।

ফলে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৪ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৬১ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে টানা দুদিন পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

সোমবার দিনের লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারে ছড়িয়ে পড়ে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়েছে। এই গুজবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন। শুরু হয় সূচক পতন, যা অব্যাহত ছিল দিনের লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত।

জানা গেছে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪.২৫ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯০.৯৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫.৮৬ পয়েন্ট বা ০.৪৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২.৯৯ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৪২.৯৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৭৭.৪১ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩টির বা ৪.২৭ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৭২টির বা ২৩.৬৮ শতাংশের এবং ২১৯টির বা ৭২.০৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০.৮২ পয়েন্ট বা ০.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮৩.২৮ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫২টির আর ৭০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।