শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারের দর কারসাজি করে বাড়ানোর ক্ষেত্রে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বিএসইসির একটি তদন্ত কমিটি আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ার কারসাজিতে সাকিব আল হাসানের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে।

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং আলোচিত শেয়ার কারসাজিকারি আবুল খায়ের হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিং এবং তাদের সহযোগীদের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত রোবাবর (৩০ অক্টোবর) বিএসইসি কর্তৃক এই বিষয়ে শাস্তি আরোপ করে একটি চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, হিরু এবং তার সহযোগীরা সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে।

বিএসইসির অনুসন্ধান অনুসারে, সাকিব আল হাসান শেয়ারবাজারের আলোচিত কারসাজিকারী আবুল খায়ের হিরু এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ১১ লাখ শেয়ার কিনেছিলেন এবং পরে ইবিএল সিকিউরিটিজে তাদের নিজেদের বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১০ লাখ ৬৯ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছিলেন।

বিএসইসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএসইসি ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। কারণ তার শেয়ারের লেনদেন হিরু এবং হিরুর সহযোগিদের মতো তেমন বড় আকারে ছিল না।

এদিকে, আবারও আবুল খায়ের হিরুকে বাঁচাতে দেখা গেল বিএসইসির ঘৃণ্য প্রয়াস। শেয়ারবাজারের মশা-মাছি পর্যন্ত সবাই জানে মোনার্ক হোল্ডিং এবং সব ব্রোকারেজ হাউজে সাকিব, হিরুর স্ত্রী, তার বাবা, তার শ্যলক সবার পোর্টফোলিও পরিচালনা করেন হিরু নিজে। এমনকি বিএসইসির যেকোনো শুনানিতেও হিরু নিজেই তাদের সবার পক্ষে উপস্থিত হন এবং ব্যাখ্যা দেন।

অথচ শাস্তির বেলায় হিরু সব সময় পর্দার আড়ালে থেকে যান। কিন্তু হিরুকে বাচাঁনোর এতো চেষ্টা কেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির? এর কোনো যুক্তিসংগত কারণ খুঁজে পান না বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা।