শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে পুঁজিবাজারে আসা নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারে বড় তেলেসমাতি কাণ্ড ঘটছে । আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭৮ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে (শেয়ার সংখ্যায়) ৩৩ হাজার শতাংশ। আর টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ৫৪ হাজার শতাংশ।

সার্কিট ব্রেকার না থাকার সুযোগকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবেই এমন তেলেসমাতি কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আর এর নেপথ্যে থাকতে পারে কারসাজি চক্রের ভূমিকা। এমনকি উদ্যোক্তাদের যোগাজশ থাকারও সন্দেহ করছেন অনেক বাজার বিশ্লেষক। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন তারা।

গত ২৭ অক্টোবর নাভানা ফার্মার পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা। নিয়ম অনুসারে, লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার পরবর্তী কার্যদিবসে সার্কিটব্রেকার বা সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা হ্রাসের কোনো সীমা থাকে না। লভ্যাংশ ঘোষণার পরবর্তী কার্যদিবস হওয়ায় আজ নাভানা ফার্মার শেয়ারে তাই সার্কিটব্রেকার ছিল না। আর তাতেই ঘটে গেছে এত ব তেলেসমাতি।

আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে নাভানা ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ৫১ টাকা ১০ পয়সা। আজ শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় ৭০ টাকা দরে। এটি-ই ছিল শেয়ারটির সর্বনিম্ন দাম। ডিএসইতে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দাম উঠে ৯৯ টাকা। তবে দিন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য দাঁড়ায় ৯১ টাকা। আগের দিনের তুলনায় শেয়ারটির দাম বাড়ে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭৮.০৮ শতাংশ।

রোববার নাভানা ফার্মার শেয়ারের দামের পাশাপাশি লেনদেনেও বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে। এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে ৩৩৫৬২ শতাংশ। আগের দিন ডিএসইতে নাভানা ফার্মার ২২ হাজার ৯৫৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। রোববার লেনদেন হয় ৭৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৫টি শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৭ লাখ ৩ হাজার ৭১২টি বেশি।

আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে মাত্র ১২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। রোববার এক লাফে লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬৫ কোটি ১২ লাখ টাকা; যা আগের দিনের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা বা প্রায় ৫৪ হাজার শতাংশ বেশি।