শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সাবিসিডিয়ারি কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া, সুদ আয় মওকুফ ও খেলাপী হওয়া ঋণ অবলোপন করতে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই)। সাধারণত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ ও পুঁজি সরবরাহ করতে পারে। আবার নিজেও কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধারন করতে পারে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর ১৪(গ) ধারা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি বা গোষ্ঠীর অনুকূলে উহার মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক ঋণ সুবিধা অনুমোদন করবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন স্বাপেক্ষে মূলধনের সম পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে পারে।

আর আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী, আর্থিক, বাণিজ্যিক কৃষি বা শিল্প বিষয়ক প্রতিষ্টানের বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের যে কোন ধরনের শেয়ার অর্জন বা ধারনের লক্ষ্যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান উহার পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় বা ব্যবহার করতে পারবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও সাবসিডিয়ারিতে দেওয়া ঋণসীমা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত বিনিয়োগ ও ঋণ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার সেই ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণ অবলোপন শুরু করেছে।

এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এই বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কতিপয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সাবসিডিয়ারি/সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ করছে।

এছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রদত্ত ঋণের সুদ মওকুফ কিংবা ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধি-বিধান লংঘনের ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর ফলে আর্থিক খাতের ঋণ শৃঙ্খলা ব্যহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান সমূহের ঋণ/বিনিয়োগ ফেরত না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের স্বার্থে ও ঋণ শৃক্সক্ষলা ফিরিয়ে আনতে নিজস্ব সাবসিডিয়ারি/সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ঋণ বা বিনিয়োগ প্রদান, সুদ বা মুনাফা মওকুফ ও বিতরণকৃত ঋণ অবলোপনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।