শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের নতুন সংযোজন এসএমই ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অধীনে যে প্ল্যাটফর্মে স্বল্প মূলধনে তুলনামূলকভাবে ভালো নয়, এমন ১৩টি কোম্পানির নিয়মিত লেনদেন হয়। এসব কোম্পানিতে আজ ২৩ কোটি ৮ লাখ টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। অথচ দেশের দ্বিতীয় স্টক একচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত ৩৬৬টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সিএসইতে ঢাকার এসএমইয়ের তুলনায় ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিনিয়োগকারীদের সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুই পুঁজিবাজারে নতুন সংযোজন এসএমই ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অধীনে এই এসএমই ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্মে স্বপ্ল মূলধনে তুলনামূলকভাবে ভালো নয়, এমন ১৩টি কোম্পানির নিয়মিত লেনদেন হয়। এসব কোম্পানিতে গতকাল ২৩ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়।

আর আগের দিন হয়েছিল ২৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়। অথচ দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৬৬টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছিল মাত্র ২১ কোটি ৪৯ টাকা। আর আগের দিন ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়, যা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশাজনক। অথচ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দেশের প্রথমবারের মতো এসএমএ কোম্পানির লেনদেন শুরু হয়েছিল, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাধারণ আলাপ-আলোচনায় আলোচিত হচ্ছে।

লেনদেন কম ও বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়ে সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক বলেন, লেনদেন তো কমছে, সেটা ঠিক। আমরা প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছি, কিন্তু কী করব? তবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর বিষয়ে আমরা কাজ করছি, তখন বাজারে আমাদের অবস্থান ভালো হবে। আমাদের লেনদেন বাড়বে। এর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। অন্তত একটি পণ্য নিয়ে হলেও চলতি বছরের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করব। এতে লেনদেন বাড়বে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ যাত্রা করে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নিট মুনাফা করে, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ৩৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।