শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে ৮টি কোম্পানি ৬৯৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। আগের অর্থবছর ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৬টি কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে তুলেছিল ১ হাজার ৬১০ কোটি ৮৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এতে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে আইপিওতে শেয়ার ছাড়া কোম্পানির সংখ্যা কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। আর আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন কমেছে ৯১১ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে যত কোম্পানির আইপিও আসবে বাজার তত বড় হবে। তাই বাজারে নিয়মিত আইপিও আনার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তাঁরা বলছেন, গড়পড়তা সব কোম্পানির আইপিও দিলে হবে না। ভালো ভালো কোম্পানি বাছাই করে আইপিও দিতে হবে। তাহলেই শেয়ারবাজারে প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ বড় অংকে কমলেও এক অর্থবছরে সব থেকে কম আইপিও আসে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মাত্র ৪টি প্রতিষ্ঠান আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করে।

এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২টি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০টি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫টি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯টি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫টি, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৬টি, ১০১২-১৩ অর্থবছরে ১২টি, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১০টি, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৭টি, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১২টি এবং ২০১৮-০৯ অর্থবছরে ৭টি আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে সব থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করেছে ইউনিয়ন ব্যাংক। এই ব্যাংকটির উত্তোলন করা অর্থের পরিমাণ ৪২৮ কোটি টাকা। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের দিক থেকে এর পরের স্থানে রয়েছে অন্য আরেক ব্যাংক-সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানটি আইপিওর মাধ্যেমে পুঁজিবাজার থেকে নিয়েছে ১০০ কোটি টাকা।

আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফেকচারিং। এছাড়া একমি পেস্টিসাইড ৩০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার টাকা, বিডি থাই ফুড ১৫ কোটি টাকা, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা করে উত্তোলন করেছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো আইপিও যত আসবে বাজার তত ভালো হবে। কিন্তু আমাদের শেয়ারবাজারে যেসব কোম্পানির আইপিও আসছে তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ভালো ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার চেষ্টা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।