শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১১ টাকায়। এরপর টানা ১২ কার্যদিবস শেয়ারটির দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। এই ১২ কার্যদিবস যাবতই শেয়ারটি বিক্রেতা সংকটে রয়েছে। যদিও এই সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে দুই গুণের বেশি। তারপরও আইপিও বিজয়ীরা এই দরে শেয়ারটি ছাড়তে চাচ্ছেন না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০ টাকার শেয়ারটির দর গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সায়। সে হিসাবে ১২ কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ টাকা ৯০ পয়সা বা বা দুই গুণের বেশি। এর মধ্যে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে বেড়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৬০ দশমিক ১০ শতাংশ।

এর আগে গত ১ মার্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮১৩তম কমিশন সভায় মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স।

উত্তোলিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) নয় মাসে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৩ কোটি টাকার বেশি বা ৫২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

তবে মুনাফা কমলেও শেয়ারটির চাহিদা কমেনি। শেয়ারবাজারে লেনদেনের ১২ কার্যদিবসই শেয়ারটির চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। শেয়ারটির দর দ্বিগুণের বেশি বাড়লেও আইপিও বিজয়ীরা এখনো শেয়ারটি ছাড়তে চাচ্ছেন না। যে কারণে চাহিদা থাকলেও শেয়ারটির যোগান নেই। গত ১২ কার্যদিবসই শেয়ারটির লেনদেন হয়েছে তিন হাজারের নিচে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ৬ হাজারের কিছু বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি সপ্তাহেই শেয়ারটির যোগান শুরু হতে পাবে। কারণ বিমা খাতের অনেক পুরনো কোম্পানির শেয়ারও এই দরেই লেনদেন হচ্ছে। যে কারণে আইপিও বিজয়ীরা হয়তো এখন শেয়ারটি থেকে মুনাফা তুলতে চাইবেন। আইপিও বিজয়ীরা যদি শেয়ারটি ছাড়তে শুরু করে তাহলে শেয়ারটির যোগান বাড়বে।